ঢাবির ইতিহাস তুলে ধরতে চালু হচ্ছে ‘ক্যাম্পাস ট্যুরিজম’

ঢাবি
  © সংগৃৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরের পথচলায় রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য। সেই সব ইতিহাসকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে বুকলেট চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‘ক্যাম্পাস ট্যুরিজম’ নামের বুকলেটে থাকবে ক্যাম্পাসের নানা গুরুত্বপূর্ন ভাস্কর্য ও নিদর্শনগুলোর ঐতিহাসিক তথ্য।

বুধবার (২৬ জুন) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে অভিভাষণ বক্তব্যে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য 'ক্যাম্পাস ট্যুরিজম' বুকলেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই বুকলেটে কার্জন হল, অপরাজেয় বাংলা, শতবর্ষী স্মৃতিস্তম্ভ, শহিদ মিনার, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, স্বাধীনতার সংগ্রাম, স্মৃতি চিরন্তন, মধুর ক্যান্টিন, ঢাকা গেইট, ঐতিহাসিক বটতলা, তিন নেতার মাজার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সমাধিসৌধ, গুরুদুয়ারা নানকশাহী, শিববাড়ি মন্দির, গৌতম বুদ্ধ ও স্বামী বিবেকানন্দ ভাস্কর্য, ঐতিহাসিক মুসা খান মসজিদ, গণকবর (জগন্নাথ হল), শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ (শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) জয়নুল গ্যালারি (চরুকলা)-সহ অন্যান্য ভাস্কর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর ইতিহাস, স্থিরচিত্র, ম্যাপ ও কিউ আর কোড যুক্ত থাকবে। বুকলেটটি ক্যাম্পাস ভ্রমণের আকর্ষণ বাড়াবে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, ভাস্কর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার, সম্মেলন, বর্ষবরণ, বসন্ত উৎসব এবং নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এসব অনুষ্ঠানে আগত বিদেশি গবেষক-শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সমাজের গণ্যমান্য লোকজনের পক্ষে ক্যাম্পাসের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাস্কর্য ও স্থাপনাসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ থাকে না।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ