হার্ভার্ডের অ্যাস্পায়ার লিডারস প্রোগ্রামে সুযোগ পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী ইমরান

ঢাবি
  © টিবিএম ফটো

আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য অ্যাস্পায়ার লিডারস প্রোগ্রাম (The Aspire Leaders Program) একটি নেতৃত্ব উন্নয়নের প্রোগ্রাম। এটি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপকদের একটি প্রোগ্রাম যা বিশ্বব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত যুবকদের জীবন পরিবর্তন ও তাঁদের সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করতে সক্ষম। এই প্রোগ্রামের ২০২৪ সালের তৃতীয় কোহর্টে উপকূলের কয়রা উপজেলার জলবায়ু কর্মী ইমরান হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

ইমরান হোসেন বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত নেতৃত্বের এই প্রোগ্রামটি ১৪ সপ্তাহের। প্রোগ্রামটির নীতিমালা অনুযায়ী ইমরান হোসেন সম্পূর্ণ অনলাইনে এস্পায়ার গ্রাজুয়েট হতে পারবেন। এছাড়াও প্রোগ্রামটির অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে, বিশ্বের অন্য অ্যাস্পায়ার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ তৈরির সুযোগ, বিশ্বমানের একাডেমিক ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কোর্সে অংশগ্রহণের সুযোগ, হার্ভার্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাস,উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক অনুদান, বিশ্বজুড়ে মেধাবী তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ, আইডিয়া বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন, ব্যবহারিক দক্ষতা-নির্মাণ কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ ইত্যাদি।

ইমরান হোসেনের বলেন, আমার জীবনের একটাই স্বপ্ন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বকে একজন তরুণ হিসেবে আমার পক্ষ থেকে সেরাটা দিতে চাই। এজন্য তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তোলা আমার অন্যতম প্রচেষ্টার জায়গা। আমি মনে করি আমাদের মতো তরুণরা এগিয়ে আসলে খুব শীঘ্রই আমাদের বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ হয়ে উঠবে।

জানা যায়, উপকূলের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসার পরেও তিনি নিজের কমিউনিটির জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উপকূলের নারী ও তরুণ তরুণীদের সক্ষমতা গড়ে তুলতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও উপকূলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও শিশু শিক্ষার প্রসারে তিনি কাজ করছেন। 

ইতিমধ্যে ইমরান হোসেন কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-সিডিও নামের একটি স্বেচ্ছাসেবা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। উপকূলে শিশুদের জন্য হাজত খালি শিশু নিকেতন নামের একটি স্কুলও পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ব্র্যাক, ইউএসএইড, ইউনিসেফ সহ কয়েকটি অর্গানাইজেশনে তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অ্যাথলেট হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে।