শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে ঢাকা কলেজ

ঢাকা কলেজের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হলের আসাসিক ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, কলেজের হলে না থাকলেও পরীক্ষার আগে ফরম পূরণ সময় তাদের কাছ থেকে আবাসিক ফি আদায় করছে হল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা গেছে। 

জানা যায়, সম্প্রতি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণের নোটিশ দেয়। নিয়ম অনুযায়ী, এই সময় শিক্ষার্থীদের থেকে সকল বকেয়া ফি আদায় করে কলেজ প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা বকেয়া পরিশোধ না করলে তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় না। কিন্তু এই প্রথম ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বকেয়ার বাইরেও হলে না থাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। এ কারণে কলেজের হলে না থাকলেও অনেক শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, কলেজের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা জন্য ফরম পূরণের সময় এক বছরের আবাসিক ফি পরিশোধের জন্য জানায় হল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন সমাধান হয়নি। এ কারণে কলেজের অনেক শিক্ষার্থী আবাসিক ফি বাবদ অতিরিক্ত ৬০০০ টাকা দিতে বাধ্য হয়। পরে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের কারণে তিন হাজার টাকা কমিয়ে দেয় বলে জানান ওই সব শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, কেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবাসিক ফি বাবদ হল প্রশাসন তিন হাজার টাকা নিয়েছে, এই বিষয়ে কোন জবাব দেয়নি প্রশাসন।

ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশফাক ইমতিয়াজ বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কলেজের হল প্রশাসন যৌক্তিক কোন কারণে না দেখিয়ে যেভাবে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের থেকে আবাসিক ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন, এটা পুরোপুরি অন্যায়। আশা করি, শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে হলেও কলেজ প্রশাসন এই সমস্যার সুন্দর সমাধান করবেন।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালিদুর রহমান বলেন, আমি কলেজর অনাবাসিক ছাত্র। এটা প্রমাণের জন্য অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে বিভাগের চেয়ারম্যান স্যারের থেকেও লিখিত প্রমাণপত্র নিয়ে দেখিয়েছি, এরপর প্রশাসন আমার থেকে হলের ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে। এই ঘটনার যৌক্তিক সমাধানও দাবি করেছেন এই শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে ঢাকা কলেজের সাইথ হলের প্রভোস্ট জানান, এই ব্যাপারে হল কমিটির সভাপতি ভালো বলতে পারবেন। এই ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য নেই।

ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ এ টি এম মইনুল ইসলাম বলেন, যেহেতু হল প্রশাসন এই সব বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, এ জন্য  হল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি, এখন সবার সাথে আলোচনায় বসা শুরু করিনি। তবে এই বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়ছেন।