ঢাবিতে মডেলের ফটোশুট: শিক্ষকদের সাথে কী ঘটেছিল সেদিন?
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২২, ০৭:৩০ PM , আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২২, ১১:৩৪ PM

কার্জন হলে বহিরাগত এক মডেলের ফটোশুটের সময় রুমে ডেকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের দ্বারা তাদের (মডেল ও ফটোগ্রাফার) হেনস্তা করার অভিযোগ করা হয়েছে আমিনুল ইসলাম নামের একটি ফেসবুক আইডির পোস্টের মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের পর ওই ঘটনায় উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মডেল, ফটোগ্রাফার ও ফেসবুকের পোস্টদাতাকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। তবে আমিনুল ইসলাম নামের ওই ফেসবুক আইডিতে এখন আর সেই পোস্ট দেখা যাচ্ছে না। আসলে ওইদিন কি ঘটেছিল ঢাবির কার্জন হলে? এই বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে কথা বলে সত্য অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ মোমেন্টস।
এদিকে এই ঘটনার পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আসলেই কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকরা ওই বহিরাগত মডেলের ফটোশুটের সময় খারাপ আচরণ করেছেন নাকি অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হচ্ছে? ওই বহিরাগতদের একজন অভিভাবক বলছেন, উনি (ঢাবি শিক্ষক) খুবই আন্তরিক। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই ধরনের ফটোশুট না করতে বলা শিক্ষকরা প্রশংসায় ভাসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলছে, শিক্ষক হিসাবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষার জন্য যথাযথ কাজ করেছেন।
এ ঘটনায় জড়িত ছেলের অভিভাবক কি বলেছেন?
মডেল ও ফটোগ্রাফার দুইজনই একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। নাম ও পেশা প্রকাশ না করা শর্তে তাদের একজনের অভিভাবক বাংলাদেশ মোমেন্টসকে জানিয়েছেন, এই বিষয় সেটেল (মীমাংসা) হয়ে গেছে। আমি প্রক্টর মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, উনি ভালোভাবে নিয়েছেন, ডীন মহোদয় সাথে কথা বলেছি, উনিও ভালোভাবে নিয়েছেন। ডীন স্যার খুবই আন্তরিক বলেও তিনি জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি এটুকু বুঝলাম না। একটা ১৬ বছর বয়সের ছেলের সিদ্ধান্তে বা তার কথায় কী কোথাও কিছু লেখা যায়। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম, উনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (পোস্টদাতা আমিনুল ইসলাম) আমার সাথে কথা না বলে এটা (ফেসবুকে লেখা প্রকাশ) কীভাবে করলেন।
ঘটনা সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কি বলছেন?
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেছেন, আমি দেখলাম ওরা ছবি তুলছে কিন্তু ওই ছবিগুলো আমাদের ক্যাম্পাসের সাথে যায় না। আমি বললাম, তোমরা কি আমাদের ক্যাম্পাসের? বললো না। তখন বললাম তোমরা আমার সাথে আসো। যেহেতু তাদের মধ্যে একজন মেয়ে ছিল, এই জন্য আমি একজন মহিলা সহকর্মীকে ডাকলাম। সেই ম্যাডমকে বললাম, ওরা কেমন ছবি তুলেছেন একটু আপনি দেখেন। তিনি ছবি দেখে অবাক হলেন। পরে ম্যাডাম তাদের পরিচয় জানতে চাচ্ছিলো এর মধ্যে ছেলেটা বারবার ম্যাডামের সাথে তর্ক করতে ছিলো। যখন কোন ভাবেই তাকে থামানো যাচ্ছিলো না তখন একজন সহকারী প্রক্টরকে ফোন করে বিষয়টা জানালাম।
পরে ওই সহকারী প্রক্টর ঘটনা শুনলেন এবং ছবি দেখলেন। পরে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে বিষয়গুলো বুঝি বলি। ফোন করে তখন আমরা তাদের অভিভাবকদের আসতে বলি। অভিভাবকরা আসলে তাদের বললাম, ওরা এখনো বয়সে ছোট ছেলেমেয়ে। এজন্য ওদের বিষয়ে আপনাদের আরও সচেতন হলে ভালো হয়। তখন অভিভাবকরা আমাদের খুবই প্রশংসা করে বলেছেন, স্যার আমাদের সন্তানদের বিষয়ে সচেতন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। কিন্তু এখন জানতে পারছি একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিষয়টা অন্যভাবে ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওই ঘটনায় উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এক ঘন্টা পরে ঘটনাস্থলে যাই। তাদের অভিভাবকদের ডেকে আনা হয়। অভিভাবকদের সন্তানের লেখা-পড়ার দিকে খেয়াল রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছি আমরা। তাদেরকে চা-কফি খাওয়ার জন্যও বলেছি। আমি যাওয়ার পর তাদের সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি ।
উত্তর দেননি পোস্টদাতা আমিনুল ইসলাম
এদিকে ওই ঘটনার পোস্টদাতা আমিনুলের সাথে বাংলোদেশ মোমেন্টসের একজন প্রতিনিধি ফেসবুকে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কি বলছে?
ঢাবি শিক্ষার্থীরা বলছে, ক্যাম্পাসে অশ্লীলভাবে টিকটিক ও ফটোশুট বাড়ছে। যদি ওই বহিরাগতরা অশ্লীলভাবে ক্যাম্পাসে ফটোশুট করে থাকে, তাহলে শিক্ষক হিসাবে তিনি সঠিক কাজই করেছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে অশ্লীল টিকটিক ও ফটোশুট বন্ধ করা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রুহুল আমিন নামের একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপে একজনের পোস্টের কমেন্টে ওই ছেলের ফটোগ্রাফির ফেসবুক পেজের লিংক দিয়ে লিখেছেন, এর আগেও অনেকবার কার্জনে ফটোগ্রাফি করেছে সেগুলা ছবি ওর পেজে আছে, দেখতে পাবেন ওর ছবি তোলার ধরন এবং মেয়ের অঙ্গভঙ্গি। এর সব গ্রাহকই মোটামুটি একইরকম, এবং সেসব ছবির ধরন সত্যিই বিব্রত করার মতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়াস সিজার তালুকদার ফেসবুকে লিখেছেন, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র ও তার সাথে থাকা মেয়েটির সাথে ঘটা ডিন ও দুই শিক্ষিকার ঘটনাটি অনেক দূর গড়িয়েছে। সত্য-মিথ্যা জানি ন।৷ তবে ক্যাম্পাসে সত্যিকার অর্থেই অনেক বহিরাগতরা এসে আপত্তিকর ও অসামাজিক কান্ডে লিপ্ত হোন, এটা সত্যি। এই ঘটনাটির একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করার দায়িত্ব প্রক্টরের, কিন্তু এখনো তিনি কোন আওয়াজ দেননি। অন্যদিকে তিনি বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের কোন উদ্যোগের কথাও বলছেন না। এটাই বড় কৌতুক!
তিনি আরো লিখেছেন, বহিরাগতদের আগমন ও আচরণবিধি' প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন জরুরী। প্রশাসন এটা না করলে শিক্ষার্থীদেরই এটা করতে হবে। প্রয়োজনে একটি টিম গঠনও করা যেতে পারে।আর ডিন যদি তাদের নিজ কক্ষে ডেকে শাসনমূলক কথা শুনিয়ে থাকেন বা অভিভাবককে ডেকে থাকেন তবে তা উচিত কাজই করেছেন। কারণ, তার দায়িত্ব নিজ ক্যাম্পাস পরিবেশ রক্ষা করা। শুধুমাত্র স্লিভলেস ব্লাউজ পরিধানের জন্য এটা বলে থাকলে তা দুঃখজনক।
কি ছিল আমিনুল ইসলামের ফেসবুক পোস্টে?
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পাঠানো ক্ষুদেবার্তা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে আমিনুল লিখেছেন, আমি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। একাদশ শ্রেণীর একজন ছাত্রী আমাকে তার ফটোশুট করে দেওয়ার জন্য একদিনের জন্য বুক করেছিলেন। তো আমরা ঠিক করি কার্জন হলে আমরা এই ফটোশুট’টি করব, কেননা কার্জন হলে মোটামুটি সবাই ছবি তুলে।
মডেল স্লিভলেস (হাতা-কাটা) একটি ব্লাউজ আর শাড়ি পরে এসেছিলেন। আমরা আমাদের মত ছবি তুলছিলাম, হুট করে একজন বয়স্ক স্যার আমাদেরকে বললেন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কিনা? আমরা উত্তর দিলাম-না। তখন তিনি বললেন -আমার সাথে আসো। তো তিনি একজন দারোয়ানকে বললেন যে তিনি যেন আমাদেরকে তার অফিসে নিয়ে যান। পরে আমরা জানতে পারলাম তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন।
এক ঘন্টা ওয়েট করার পর তিনি আমাদেরকে তার রুমে ডাকেন। ঢুকে আমরা ডীন স্যারকে দেখতে পাই এবং তার সামনে দুইজন ম্যাডামকে দেখতে পাই। তাই আমি ভেবেছিলাম ম্যাডামরা যেহেতু আছেন আর যেহেতু এখানে একজন মেয়ে আছে তাই তারা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন। কিন্তু আমাদের আশ্চর্য করে দিয়ে ম্যাডাম সর্বপ্রথম আমাদের যে কথাটি বললেন, তা হচ্ছে, "এরকম ছবি তোলার সাহস তোমরা কি করে পেলে। তোমরা কি জানো এটা পর্নোগ্রাফি আইনের মধ্যে পড়ে? it's related to nudity?"
আমরা থ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি কখনোই ভাবতে পারিনি স্লিভলেস ব্লাউজ পরে ছবি তোলা আজকাল পর্নোগ্রাফি আইনের আওতায় পরে যায় তিনি তার কথা কন্টিনিউ করতে থাকলেন। ডীন স্যার যদিও কিছুটা শান্ত ছিলেন।
পরবর্তীতে সেই ম্যাডাম আমাদেরকে আমাদের গার্ডিয়ানের নাম্বার লিখতে বাধ্য করেন। এরপর তিনি সর্বপ্রথম আমার মাকে ফোন দেন। এবং ফোন দিয়ে তিনি যা বলেছেন তা হুবহু তুলে দিলাম-
"আপনি কি হাউস ওয়াইফ নাকি চাকরি করেন? আপনার ছেলে কোথায় কি করছে তা কি আপনি জানেন না? আপনি জানেন আপনার ছেলে কি রকম ছবি তুলছিল? আপনার ছেলে জামা কাপড় ছাড়া ড্রেসলেস নুড মেয়ের ছবি তুলছিল। এই পর্যায়ে আমি বললাম "এক্সকিউজ মি ম্যাডাম, বাট মডেল তো ড্রেসলেস ছিলেন না, তিনি কেবল স্লিভলেস ব্লাউজ পরে ছবি তুলছিলেন।
এই কথাতেই ওই ম্যাডামের প্রচন্ড পরিমাণ রেগে গেলেন। বললেন,"তোমার মত পুঁচকে ছেলের কাছ থেকে এখন আমার কোনটা কি তা বুঝতে হবে?নুড আর আননুড এর মাঝে কি আমরা পার্থক্য বুঝিনা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কি আমরা ঘাস কেটে হয়েছি? রেসিডেন্সিয়াল এর কোন ডিপার্টমেন্টে পড়ো তুমি? আমি বললাম যে ম্যাডাম আমি আর্টসে পড়ি।
তো তখন ম্যাডাম বললেন যে এই কারণেই তো তুমি একটা গর্ধব, ব্রেইন বলতে কোন কিছু নেই। এই জন্যই আর্টসে পড়। পড়াশোনায় মন না দিয়ে এসব অশ্লীল কাজ করে বেড়াও। তোমার কি মনে হয় বাঙালি কালচার এগুলা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এগুলা করা এলাউড? রাস্তা থেকে উঠে আসা ছেলে, তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে ঠিক-ভুল বুঝানোর?
আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারিনি এই কথাটা তাদের জন্য এত রুড লাগবে। এই কথার মাধ্যমে আমি নাকি ডীন স্যারের সাথেও বেয়াদবি করেছি আর তাকে নিয়ম শেখানোর চেষ্টা করেছি।
পরে মেয়ের বাবাকে ফোন দেওয়া হয়। মেয়ের বাবা নারায়ণগঞ্জ ছিলেন। তবুও তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসতে বলা হয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।আমাকে বা মডেলের সাথে যে ছেলেটি এসেছিল তাদেরকে গার্ডিয়ান আনার কথা বলা হয়নি। আমি তাও আমার আম্মুকে আসতে বলি।
এরমধ্যে ওই ম্যাডাম আমার ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করার কথা বলেন। যদিও তখনও কোন কিছুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমার ওই তথাকথিত নিয়ম শেখানোর কথার কারণে তারা প্রক্টর সারকে ডেকে আনেন। প্রক্টর বলে পরিচয় দিলেও পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি তিনি একচুয়ালি ছিলেন এসিস্ট্যান্ট প্রক্টর। এর মধ্যে আমার মা ও বাবা কয়েকবার আমাকে কল দেন। কিন্তু তারা আমাকে কল ধরতে দেননি এর মধ্যে প্রক্টর স্যার আমার বাবার সাথে কথা বলতে রাজি হন।
আমার বাবা নিজেও একজন বড় কর্মকর্তা। তথাপি তাকে অপমান করা হয় এবং ডীন স্যার বলেন যে তিনি আমার মত ছেলের বাবার সাথে কথা বলতে মোটেও ইচ্ছুক নন। আমার মা এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। মডেলের বাবাও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসেন। সেখানে সেই ম্যাডাম মডেলের বাবাকে বলে যে-"আপনার মেয়ে কি রকম ল্যাংটা হয়ে ছবি তুলে তাকি আপনারা জানেন? এভাবে যে বেশ্যা মাগীরা জামা কাপড় পড়ে তার শিক্ষা আপনারা দিতে পারেননি? কিসের বাবা হয়েছেন আপনি? যদি এতোটুকু শিক্ষা দিতে না পারলেন? এখন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোন একটা অঘটন ঘটে যেত, তার দায়িত্ব কার হত? আর এই ছেলেটা (আমাকে মিন করে) তো প্রচন্ড শয়তান। আপনার মেয়ে কি সব ছেলেদের সাথে মিশে? পরে আপনার মুখ কালো করে যখন ঘরে আসবে তখন বুঝবেন।
কিন্তু মডেল নিজেই অর্থ দিয়ে আমাকে সারাদিনের জন্য বুক করেছিলে।, ড্রেস পরার সিদ্ধান্ত ও তার ছিল। পরবর্তীতে মেয়ের বাবা যখন ছবি দেখতে চান, তখন তারা ছবি দেখাতে অস্বীকার করে। তারা বলে যে এসব ছবি দেখানোর অযোগ্য। আমি বাধা দিতে চাইলে আমাকে রুম থেকে বের করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে আমার মাকে সহ আমাকে ডাকা হয়। সেখানে বলা হয় আমার ব্যবহার প্রচন্ড খারাপ। আমি বড়দের সম্মান দিতে জানি না, আর মেয়েদের অশ্লীল ছবি তুলে বেড়াই। আমার মা আর আমি কয়েকশতবার সরি বলার পরেও তাদের মন গলেনি। (লেখাটি অনেক বড় হওয়ায় তার পোস্ট থেকে শুধু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অংশটুকু উপরে তুলে ধরা হয়েছে)।