ফেনী সদরের ৫ শতাধিক টিউবওয়েল মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ঝুঁকিতে

সারাদেশ
মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ঝুঁকিতে  © ফাইল ফটো

ফেনী সদরের ৫ শতাধিক টিউবওয়েলে আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় আর্সেনিক স্ক্রিনিং কার্যক্রমে ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় পানি সরবরাহের জরিপে এ তথ্য উঠে আসে।

ফেনী সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানায়, বিগত বছরের জুন মাস থেকে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় আর্সেনিক স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ২৯ হাজার ৬শ ৩৩টি টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৫ হাজার ৩শ ৯৮টি টিউবওয়েলে আর্সেনিক মিলেছে। এসব টিউবওয়েলের মাঝে মাত্রাতিরিক্ত ঝুঁকিতে রয়েছে ৫ শতাধিক টিউবওয়েল। 

জনস্বাস্থ্যের প্রকৌশলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের এসব টিউবওয়েলের পানি পানাহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায় ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া, ফাজিলপুর, ছনুয়া ইউনিয়নে আর্সেনিক পাওয়া টিউবওয়েলের সংখ্যা বেশি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ আরও জানায়, জেলা সদরের ১২ ইউনিয়নের ১০৮টি ওয়ার্ডে ৬০ থেকে ৭০ হাজার গভীর-অগভীর টিউবওয়েল রয়েছে। এসব টিউবওয়েল থেকে সংগৃহিত পানি ব্যবহার করে পানীয় ও গৃহস্থালীর কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। 

জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে আর্সেনিক সংশ্লিষ্ট রোগের প্রকৌপ বাড়তে পারে। উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-সহকারি প্রকৌশলী হাসান পারভেজ জানান, ফেনী সদর উপজেলায় ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ টিউবওয়েলে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। জরিপে প্রাপ্ত তথ্য উপজেলা সাধারণ সভায় অবহিত করে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ কামনা করা হয়েছে। প্রকল্প থেকে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলগুলোতে লাল দাগ দেয়া হয়েছে। 

ফেনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল গুলো চিহ্নিত করে খাওয়া ব্যতীত অন্যান্য সব কাজে এ পানি ব্যবহার করা যাবে। 

এ বিষয়ে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল‌ জানান, ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সংগৃহিত আর্সেনিকের তথ্যের বিষয়ে আমরা অবহিত হয়েছি। এবিষয়ে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য