হেলিকপ্টারে করে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন চাকরিচ্যুত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল

সারাদেশ
নববধূ নুসরাত  © সংগৃহীত

হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়ি যাবেন। স্বামীকে নিয়ে উড়াল দেবেন আকাশে। একমাত্র কন্যার এমন শখ পূরণ করলেন বাবা। বর ইরফানকে নিয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে চক্কর দিলেন নববধূ নুসরাত। তার বাবা চট্টগ্রামের চাকরিচ্যুত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল মো. মহিবুল্লাহ। তবে মেয়ের বিয়েতে এমন আয়োজন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। 

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীর এনায়েত বাজার এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম মিয়ার ছেলে ইরফান তাজুয়া অভির সঙ্গে মুহিবুল্লাহর মেয়ে নুসরাত জাহানের বিয়ে হয়। মহিবুল্লাহর নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকায় বসবাস করছেন। চাকরি হারানোর আগে তিনি নগর ট্রাফিক পুলিশের পশ্চিম জোনে কর্মরত ছিলেন। 

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) মো. তারেক আহম্মদ বলেন, ‘চাঁদা দাবির অভিযোগে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলার পর তদন্তের ভিত্তিতে মুহিবুল্লাহকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক নেই।’ 

বিয়ের দিন নুসরাত জাহানকে লালখান বাজার জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে হেলিকপ্টারযোগে আউটার স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। এ সময় পাইলটের পাশের আসনে বসেন কনে নুসরাত জাহান। পেছনের আসনে বসেন মো. মহিবুল্লাহ ও তার স্ত্রী। এরপর কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। বেলা ৪টার দিকে বর ইরফানকে নিয়ে আউটার স্টেডিয়ামে থাকা হেলিকপ্টারে চড়েন নববধূ নুসরাত। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে চক্কর দেওয়ার পর তাদের ফের আউটার স্টেডিয়ামে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে প্রাইভেটকারে চড়ে কাজির দেউড়িতে অবস্থিত শ্বশুরবাড়িতে যান নুসরাত জাহান। 

মো. মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘মেয়ের শখ জামাইসহ হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়ি যাবেন। একমাত্র মেয়ের আবদার রাখতে নিজের জমানো টাকা খরচ হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। মেয়ে হওয়ার পর থেকে তার বিয়ের জন্য আমরা টাকা জমিয়ে আসছিলাম। ওই টাকা দিয়েই বিয়ে দিয়েছি।’


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ