মাতৃভাষা দিবসে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড়

সারাদেশ
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড়  © টিবিএম ফটো

পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত কক্সবাজার সমূদ্র সৈকত। কেউ স্বচ্ছ জলরাশির ঢেউয়ের খেলায় তাল মেলাচ্ছেন। কেউ বালিয়াড়িতে পায়ের খেলায় মগ্ন। অনেকেই ছুটছেন ঘোড়ার পিঠে। ছাতার নিচে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন কেউ কেউ। মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকতে কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী পয়েন্টে ছিল ভিড়। যান্ত্রিক কোলাহলের শহর ছেড়ে প্রশান্তির জন্য এসেছেন অনেকেই। প্রকৃতির মাঝে তাঁরা হারিয়ে যেতে চান।

হোটেল মালিক ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিনে অন্তত দুই লাখ পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন।

সিলেট থেকে আসা পর্যটক সাব্বির আহমেদ জানান, কক্সবাজারে এই প্রথম এসেছেন। তবে এখানে এত লোকের সমাগম দেখবেন ভাবেননি। এত সুন্দর স্থান এটা কল্পনার বাইরে। এখানে এসে খুব ভালো সময় যাচ্ছে। ঢাকা থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল হুদা জানান, হাতে কেবল এক দিনের ছুটি। কর্মব্যস্ততা ভুলে সাগর উপভোগে ছুটে এসেছেন। এসেই শান্তিতে মন ভরে উঠেছে। চট্টগ্রাম শহরে কর্মরত দিনাজপুরের মোহেনা রেজাকে কক্সবাজারের পাহাড়, সাগর বারবার টানে। এবার এসেছেন সপরিবারে। তিনি বলেন, 'ছুটি কম। অফিস থেকে অতিরিক্ত দু'দিন ছুটি নিয়ে এসেছি। মন ভালো রাখতে সমুদ্রের চেয়ে উত্তম কিছু হতে পারে না।'

পর্যটক বাড়লে ব্যবসা হয়, আয় বাড়ে- তাই খুশি ব্যবসায়ীরাও। তাঁরা জানান, পর্যটকরা যেন বারবার ছুটে আসেন এই সৈকতে। হোটেল দ্য কক্স টুডের জেনারেল ম্যানেজার আবু তালেব জানান, ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসবে, এটা স্বাভাবিক। পর্যটক এলে ব্যস্ততা বাড়ে, ব্যবসাও হয়। বছরজুড়ে যেন পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি। কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, পর্যটকদের সেবায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। পর্যটন শিল্পের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য আমরা সব খাবারের দাম কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতে অন্তত দুই লাখ পর্যটক এসেছেন। তাঁরা কক্সবাজার সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করছেন। পর্যটকদের সার্বিক সেবা ও নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, স্পটগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। এ ছাড়া পর্যটকদের কাছ থেকে কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে- এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য