দুমকিতে তরমুজে স্বপ্ন বুনছেন মামা-ভাগ্নে

তরমুজ
ভাগ্নে ও মামাদের বিশাল তরমুজের ক্ষেত  © টিবিএম ফটো

পটুয়াখালীর দুমকিতে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারিয়া গ্রামে পায়রা নদীর ধারে বিস্তীর্ণ চরে প্রায় ৯৬ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ভাগ্নে ও তার মামারা। 

ক্ষেতজুড়ে গাছের লতায় লতায় ফুল আর তরমুজ। বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে যতদূর চোখ যায় যেন, সবুজের সমারোহ। দিন যতই যাচ্ছে তরমুজের আকার বেশ বড় হচ্ছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একসময়ে রবি মৌসুমে খালি পড়ে থাকা বিস্তীর্ণ চরে চাষাবাদ করা হয়েছে তরমুজের। সেচ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই চার চাষি। বড় আকারের তরমুজের ওজন প্রায় ২০ কেজি হয়ে গেছে। আর ৮-১০দিন পরেই তরমুজের আকার আরও বড় হবে। সেই সাথে বাজারেও বিক্রি করা যাবে এই তরমুজ। 

চাষিদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া সদর ইউনিয়নের হাফেজ গাজী, হিরন মোল্লা, ইসা মুন্সী নামের তিন ভাই ও তাদের ভাগ্নে শাহিন মোল্লা লীজ নিয়ে ওই জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। 

0edfbd36-a863-41fd-bd9e-572e8e72bc66

এছাড়াও উপজেলার মুরাদিয়ায় পাঙ্গাশিয়ায়, পাতাবুনিয়ায়, জলিশায়ও স্থানীয় চাষিরা তরমুজের চাষ করেছেন। তবে তা স্বল্প পরিসরে। 

তরমুজ চাষি হাফেজ গাজী জানান, গেল ১৫-১৬ বছর ধরে আমি একাই তরমুজ চাষ করে আসছিলাম। তবে ৫ বিঘার বেশি জমি একা চাষাবাদ করতে পারিনি। চলতি মৌসুমে চার জন মিলে এক হয়ে জমি লীজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। সার, কীটনাশক, শ্রমিক খরচসহ সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ওপরে ব্যয় হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ৭০-৮০ গাড়ী তরমুজ হবে বলে আশা রাখি। যার বাজার মূল্য ৭০-৮০ লাখ টাকার ওপরে।  

অপর তরমুজ চাষি শাহিন মোল্লা জানান, জমিতে ধান পাট চাষ করতে যে খরচ হয় তরমুজ চাষে খরচ হয় তার অর্ধেক, মুনাফা হয় বেশি। তবে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে এবারে খরচ বেশি হয়েছে। তারপরেও আশা করছি কাঙ্খিত ফলন এবং লাভ হবে।  

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখর চন্দ্র দাস দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, পুঁথিগত বিদ্যা ও বাস্তব জ্ঞানের আলোকে তাদের নিয়মিত সার্বিক পরামর্শ দিয়ে আসছি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকা  বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই। তাদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রম তা প্রমাণ করেছে। 

চার চাষির সফলতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, কৃষক তাদের উচ্চ মূল্যের ফসল যাতে লাভজনক অবস্থায় নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পরে সেজন্য কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।  


মন্তব্য