পরকীয়া প্রেম, বিয়ের দাবিতে ২সন্তানের জননীর অনশন

যশোর
  © মোমেন্টস ফটো

বিয়ের ৯ বছর পরও পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছেন যশোর কতোয়ালী থানার এক নারী। গত দু’দিন ধরে পরকীয়া প্রেমিক তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে শহর আলীর  বাড়িতে অবস্থান ধর্মঘট করছে। যার ঘরে রয়েছে দুটি সন্তান।

স্বামী কাপড় ব্যাবসায়ী  ও স্বাবলম্বী। তারপরও নতুন করে বিয়ের দাবিতে গতকাল শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল  থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন রফিকুল ইসলাম নামের এক কাপড় ব্যবসায়ীর  স্ত্রী।

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কমলাপুর (দক্ষিণ পাড়া) গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রেমিক কমলাপুর গ্রামের জোবান বিশ্বাসের ছেলে মো: তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে শহর আলী। তিনি ঔষধ কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগসে কর্মরত। সেই দুই সন্তানের জননী জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে তোফাজ্জল হোসেন ওরফে শহর আলীর সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। এ সম্পর্কের মধ্যে একাধিকবার তাদের শারীরিক সর্ম্পক হয়েছে। বিভিন্ন সময় সে আমাকে বিয়ে করার কথা বলেছে। সম্প্রতি আমার স্বামী এ অনৈতিক ঘটনা জেনে যাওয়ায় সে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমার সম্মান নষ্ট ও উপায় না থাকায় তোফাজ্জেল ওরফে শহর আলীর  আশ্বাসেই আমি বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান করছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন খান ছেলের পক্ষ নিয়ে  আমাকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেলের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেছেন। ছেলে বিয়ে না করলে আমার মৃত্যু ছাড়া কোনো উপায় নেই।

আরও পড়ুন: প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ; ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় উৎসুক জনতা তোজাজ্জেল হোসেন ওরফে শহর আলীর বাড়িতে ভিড় করতে থাকে।

কাদিরপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাশেম এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিষয়টি চেয়ারম্যান জানেন। ঘটনার সুরাহা করতে রবিবার সকাল ১০টার মধ্যে ছেলের সাথে ওই নারীর বিবাহ দেওয়ার কথা থাকলেও এখন  পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। চেয়ারম্যান বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

এ ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে শহর আলী বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার ওসি মো:জাব্বারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


মন্তব্য