সৌন্দর্যবর্ধন ও স্ট্যাডির নামে পবিপ্রবিতে পপি ফুলের চাষ! 

পটুয়াখালী
  © মোমেন্টস ফটো

পপি বা আফিম ফুল। এর ইরেজি নাম ওপিয়াম পপি (Opium poppy)। এ ফুল থেকেই দামি মাদক ‘আফিম তৈরি হয়। দেশে সব ধরনের পপির চাষ নিষিদ্ধ হলেও সৌন্দার্যবর্ধনের নামে ও স্ট্যাডি উদ্দেশ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে পপি ফুলের চাষ। 

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা মহলে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন হলের সামনে রয়েছে নিষিদ্ধ এই পপি ফুলের গাছ। ফুল ঝরে প্রায় সব গাছেই ফল ধরেছে। 

তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রোভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ জাহিদ হাসান বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর এর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম এটা হল Ornamental flowering plant. হর্টিকালচার বিভাগের Floriculture বিষয়ের ছাত্রদের কোন্ কোন্ ফুলগুলো ornamental তা চেনানো হয়। 

অনুসন্ধানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে হর্টিকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানী বলেন, এক প্রকারের পপি থেকে ড্রাগ উৎপাদন হয়, আর অপর একটি জাত রয়েছে যা থেকে ড্রাগ উৎপাদন হয় না। আমাদের ক্যাম্পাসে যেটা চাষ করা হয় সেটায় ড্রাগ উৎপাদন হয় না। এটা আমারা লেখাপড়া ও সৌন্দর্যবর্ধনে দীর্ঘদিন ধরেই চাষ করছি। 

রেজিস্ট্রার(অ.দা.) প্রফেসর ড.  সন্তোষ কুমার বসু বলেন, এটা প্রতি বছরই সৌন্দর্যবর্ধন ও স্ট্যাডি পারপাসে স্বল্পপরিসরে আমরা প্লান্টিং করি। এতে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে নেই। 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের  পটুয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে চিকিৎসায়, গবেষণায়, শিল্পকারখানায় ও ঔষধে ব্যবহার করা যাবে। 


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ