ঈশ্বরদীতে বিনা পয়সায় রেলের টিকিট নিবন্ধন করছেন একদল শিক্ষার্থী

ঈশ্বরদী
  © টিবিএম ফটো

স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ও বিনা পয়সায় পাবনার ঈশ্বরদীত রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারে বসে অনলাইন টিকিট নিবন্ধন করছেন একদল শিক্ষার্থী। বুধবার (১৫ মার্চ) বেলা ১২টায় বিডি ক্লিন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে ৭-৮ জন কলেজ শিক্ষার্থী এ টিকিট নিবন্ধন কাজে অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা জনসাধারনের সুবিধা ও টিকিট নিশ্চিত করতেই মুলত স্বেচ্ছায় টিকিট নিবন্ধন করে দিচ্ছে। অন্যান্য জায়গা বা যে কোন কম্পিউটারের দোকানে গেলে টিকিট নিবন্ধনের জন্য ২০-৩০ টাকা করে লাগলেও এখানে লাগছেনা কোন টাকা।

বিডি ক্লিনের উপজেলা সমন্বয়ক ইমন আহমেদ বলেন,  "টিকিট যার,ভ্রমন তার" এমন নীতি বাস্তবায়ন ও রেলের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের এই অনন্য উদ্যগ কে সাধুবাদ জানাই। প্রত্যেকটি যাত্রীই যেন টিকিট নিয়ে রেলভ্রমন করতে পারে সে কথা চিন্তা করেই এখানে বিনা পয়সায়   নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটির বেশিরভাগ সদস্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।

ঈশ্বরদীর বাসিন্দা ও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মকর্তা আব্দুল আলিম মিঠু  বলেন, ‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশাত্ববোধে উদ্ধুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।

টিকিট নিবন্ধন করতে আসা যাত্রী কিরন হোসেন বলেন,  সাধারন যাত্রীদের টিকিট নিশ্চিত করতে ও বিনা পারিশ্রমিকে  শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে আমাদের যেমন সুবিধা হচ্ছে তেমনি বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

নিবন্ধন করতে আসা আরেকজন যাত্রী শানজিদা পারভিন বলেন, দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়িয়ে স্বল্প সময়েই আমরা টিকিট নিবন্ধন করতে পারছি। বিডি ক্লিন সংগঠনের এমন অনন্য উদ্যগ যাত্রীদের টিকিট পেতে ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধের জন্য সহায়ক বলে মনে করছি।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারি বাণিজ্যিক কর্মকর্তা একেএম নূরুল আলম বলেন, বিডি ক্লিনের কর্মীরা যাত্রীদের টিকেট নিবন্ধনে সহযোগিতা করছে এটি আমি শুনেছি। তাদের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভালো। তাদের মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীরা বিনাখরচে নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে যাত্রীরা উপকৃত হচ্ছেন।


মন্তব্য