গোলাপগঞ্জ নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারে প্রতারনা শিকার বিয়ানীবাজারের এমাদ উদ্দিন

গোলাপগঞ্জ
  © মোমেন্টস ফটো

সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌর শহরে অবস্থিত নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারে প্রতারনার শিকার হয়েছেন বিয়ানীবাজার উপজেলার মাতিউরা গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এমাদ উদ্দিন। এ বিষয়ে নিয়ে ভুক্তভোগী এমাদ উদ্দিন  গতকাল ১৮ মার্চ,২০২৩ইং(শনিবার) গোলাপগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযোগ ও ঘটনাসূত্রে জানা যায়,অভিযোগের বাদী এমাদ উদ্দিন  গত ২০২০ সালের করোনাকালীন সময়ে দাঁতের চিকিৎসার জন্য নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারে ডাঃ রুহুল আমীন খানের কাছে আসেন এবং তার মাধ্যমে দাঁতের ৪টি ক্যাপ লাগান।দাঁতের সাথে ক্যাপগুলো পুরোপুরি ফিটিং না হওয়ার কারণে তিনি ডাঃ রুহুল আমীন খানের সাথে যোগাযোগ করলে ডাক্তার তাকে বলেন,ভালো করে খাবার চিবিয়ে খেলে ক্যাপ ফিটিং হয়ে  দাঁত বসে যাবে। কিছুদিন পরে তিনি প্রবাসে চলে গেলে দাঁতের অবস্থা খুবই খারাপ  প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে সেখানকার মেডিকেলে যোগাযোগ করেন।অতঃপর সেখানকার মেডিকেল তার দাঁতের অবস্থা খারাপ দেখে ভর্তি দেয় এবং দাঁত লাগানোর জন্য ২০ হাজার ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২০লক্ষ টাকার হিসাব দেয়।এরপরে ভুক্তভোগী এমাদ উদ্দিন চিকিৎসা না করে  বাংলাদেশে ফিরে এসে বিয়ানীবাজারের একটি ডেন্টাল কেয়ারে চিকিৎসা করলে প্রকাশ পায় যে,তার দাঁতের ক্যাপ সঠিকভাবে  বসানো হয়নি তাই দাঁতের জামি পঁচে গেছে।

এ ব্যাপারে নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারের সত্ত্বাধিকারী অভিযুক্ত রুহুল আমিন খান প্রতিবেদকের সাথে ফোন আলাপকালে জানান,বিয়ানীবাজারের এমাদ উদ্দিন নামে কোন রোগীর ক্যাপ করেছি, চিকিৎসা করছি বলে আমার মনে নেই। আমার ডেন্টাল কেয়ারে ২ বছরের চেয়ে বেশিদিন কোন ডাক্তার থাকে না।হয়তো অন্য কোন ডাক্তার ছিল যা আমার জানা নেই  এ বিষয়ে আমি অবগত নই।

ঘটনার ভুক্তভোগী ও অভিযোগের বাদী এমাদ উদ্দিন জানান, আমার সাথে যা হয়েছে আমি মনে করি মারাত্মক অপরাধ করেছে নিরাময় ডেন্টাল কেয়ার।ডেন্টাল কেয়ার থেকে আমার দাঁতে ক্যাপ করে ১০ বছর মেয়াদ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।ডাক্তারের চুক্তি অনু্যায়ী ১০ বছরের ভিতরে কোন সমস্যা হলে ডেন্টাল কর্তৃপক্ষ পুনরায় কাজ করে সেবা প্রদান করবে।কিন্তু আমাকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে অবহেলা করে আমার রোগের জন্য দায়ী হয়েছে তারা। ডাক্তারি একটি মহৎ পেশা,এই পেশাকে ক্ষুন্ন করছে কিছুসংখ্যক অযোগ্য ও খারাপ লোক।আমি একজন প্রবাসী হয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে গোলাপগঞ্জের মতো এলাকায়। এই চিকিৎসায় অবহেলা করায় আমি দেশে বিদেশে একাধিকবার যাতায়াত করে যার পিছনে আমার লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে।বর্তমানে আমার  এই রোগে দেশে চিকিৎসায় অনেক টাকাও খরচ হয়েছে। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী চিকিৎসা করতে পেরেছি,আমার মতো রোগে অসহায় কেউ থাকলে চিকিৎসার অভাবে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতো।আমি চাই আমার মতো বিপদে পরে হয়রানির শিকার অন্য কেউ না হোক। আমার এই বিষয়ে অনেক টাকা খরচ হয়েছে কিন্তু আমি শুধু সঠিক বিচার চাই।আমি ইতিমধ্যে সঠিক বিচারের জন্য গোলাপগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।সেখান থেকে সন্তোষজনক বিচার না পেলে আমি গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করবো এবং আইনি পদক্ষেপ নিবো।

এ বিষয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগিতা কামনা  করছেন ভুক্তভোগী  যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এমাদ উদ্দিন ও তার পরিবার।


মন্তব্য