পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন 

পটুয়াখালী
  © মোমেন্টস ফটো

পটুয়াখালীতে খাদিজা শিমুর স্বামী সাদমান সাকিবের সহযোগী জাকির হোসেন কর্তৃক মহিলা পরিষদ দুমকি উপজেলার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বনোয়াট, হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখা ও দুমকি উপজেলা শাখা। 

বৃহস্পতিবার(৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালন করা হয়। 

মানবন্ধনে বক্তব্য দেন- জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিরীন নাহার, সংগঠনিক সম্পাদক সাহানা আক্তার মুক্তা, অর্থ সম্পাদক তাপশী কর্মকার, দুমকী উপজেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি তাহেরা আলী রুমা, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানা হিমেল প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে দুমকী উপজেলার চরগরবদী এলাকার মোহাম্মদ আলী শরীফের মেয়ে খাদিজা শিমুর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেন বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের সাদমান সাকিব। কিন্তু চার বছর পার হলেও স্ত্রী'র মর্যাদা না দিয়ে উল্টো নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানিমূলক মামলা দেন তিনি। এরপর উপায়-আপায় না পেয়ে খাদিজা শিমু স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আদলতে মামলা করেন। কিন্তু সাদমান সাকিবের সহযোগী জাকির হোসেন খাদিজা শিমুকে মামলা তোলার জন্য বিভিন্নভানে চাপ প্রয়োগ করেন। এ সময় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দুমকী উপজেলার নেতৃবৃন্দ নির্যাতিতা খাদিজা শিমুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার পাশে দাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাজে মন্তব্য করে পোস্ট করেন। ওই বাজে পোস্টের প্রেক্ষাপটে ১০ ফেব্রয়ারী বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দুমকী উপজেলার নেতৃবৃন্দ সাদমান সাকিবের সহযোগী জাকির হোসেনের নামে দুমকি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। হঠাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারী খাদিজা শিমুর সাথে দুমকি উপজেলার থানা ব্রিজ এলাকায় সাদমান সাকিব ও সহযোগী জাকির হোসেনের সাক্ষাৎ হলে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পুলিশ গিয়ে তাদের দু'জনসহ খাদিজা শিমুকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর জাকির হোসেনের ফেসবুকে বাজে পোস্টের কারনে সর্বপ্রথমে মোবাইল জব্দ করা হয়। আর ১৮মার্চ ওই স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক বিরোধ মিমাংসার জন্য দুমকি থানায় বসবে এমর্মে মুচলেকা দিয়ে চলে যান সাদমান সাকিব। কিন্তু ১৪ মার্চ সাদমান সাকিবের সহযোগী জাকির হোসেন বাদি হয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান, দুমকি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কয়েক জন এস আই সহ সুশীল সমাজের লোকজনকে জড়িয়ে আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। 


মন্তব্য