মাগুরায় প্রধান বিচারপতির ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

মাগুরা
  © সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এই রাষ্ট্রের মালিক। প্রত্যেক দিন আদালত আঙ্গনে হাজার হাজার মানুষ বিচারপ্রার্থী হয়ে বিচারের আশায় কোর্টে আসেন। এজন্য তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অথচ রাষ্ট্রের সেই মালিকদের কোর্টে বসার বা বিশ্রামের কোনো জায়গা নাই। শিশু নিয়ে একজন মা ব্রেস্ট ফ্রিডিং করাতে পারে না। 

“তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই কষ্টটা লাঘব করার জন্য দেশের সমস্ত আদালতে বিচারপ্রার্থী মানুষের বিশ্রামস্থল হিসেবে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণের, যাতে আদালতে এসে তারা স্বস্তিতে বসতে পারে, কিছু আহার করতে পারে। এখানে ৬০ থেকে ৭০ জন লোকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। এখানে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা দু’টি টয়লেট থাকবে। এছাড়া একটি ফাস্টফুডের দোকান থাকবে। এ জন্য সরকার ৩৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে। অর্থাৎ ৬৪টি জেলায় প্রতিটিতে আমরা প্রায় ন্যূনতম ৫০ লক্ষ টাকা করে দিতে পারব।”

যেখানে বেশি জনসমাগম হয়, সেখানে একটু বেশি টাকা দিয়ে ন্যায়কুঞ্জ বানানো হবে বলে তিনি জানান। 

মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে অন্যদের মধ্যে মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, জেলা দায়রা জজ অমিত কুমার দে, পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন, মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সংগ্রাম ও সমিতির আইনজীবী সহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

পরে তিনি জেলার বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা আইনজীবী সমিতির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। 

প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের পেশায় আরও পরিশ্রমী ও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তা না হলে বিচারপ্রার্থী মানুষ সঠিক সময়ের মধ্যে বিচার পাবে না মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আদালত চত্বরে  একটি লিচু গাছের চারা রোপন করেন


মন্তব্য