নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহনে ঈশ্বরদীতে মিষ্টি বিতরন ও আনন্দ মিছিল

ঈশ্বরদী
  © টিবিএম ফটো

বাংলাদেশের ২২তম নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহন করায়  পাবনার ঈশ্বরদীতে মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে পাবনা-৪ আসনের(ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নির্দেশনায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বসাধারণকে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে টিভি পর্দায় শপথ গ্রহন দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। এরপর নেতাকর্মীরা সর্বসাধারণের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ মিছিল করেন।

এসময় পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) এর সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস নিজ হাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাসের মুখে মিষ্টি তুলে দেন। একই সঙ্গে নেতাকর্মীসহ জনসাধারণের মধ্যেও মিষ্টি বিতরণ করেন।

পাবনা-৪(ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিন আমার রাজনৈতিক গুরু। রাজনৈতিক জীবনে মোঃ সাহাবুদ্দিন যখন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন একই কমিটিতে আমি সহ-সভাপতি ছিলাম। তাঁর নেতৃত্বে আমরা রাজনীতি করেছি।

এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাস আরও বলেন, বিশ্বনেত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা, বিশ্বমানবতার মা, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার আওয়ামীলীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাবনার কৃতি সন্তান মোঃ সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করে পাবনাবাসীকে গৌরান্বিত করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা চির ঋণী। একই সঙ্গে পাবনা আরেক কৃতি সন্তান এডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপিকে মহান সংসদের ডেপুটি স্পিকার করেছেন। এটাও আমাদের নিকট চরম গর্বের।

ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা বলেন, মোঃ সাহাবুদ্দিন আমাদের অভিভাবক। তিনি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। ঈশ্বরদীবাসী হিসেবে আমার নিকট এর চেয়ে বড় গর্বের আর কোন কিছু নাই। আমরা ঈশ্বরদীবাসী প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেত্রী মাবতার মা শেখ হাসিনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ।

পারিবারিক জীবনঃ নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের লক্ষ্মীসাগর এলাকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা শরফুদ্দিন আনসারী ছিলেন ব্যবসায়ী। মা খায়রুন নেসা ছিলেন গৃহিণী। ৪ ভাই ও ৬ বোনের মধ্যে সবার বড় মোঃ সাহাবুদ্দিন। মা ও বাবার আদরের ডাক নাম চুপ্পু। পাবনাবাসী তাঁকে মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু নামেই ডাকেন ও চেনেন। ব্যক্তি জীবন নতুন এই রাষ্ট্রপতি এক ছেলে সন্তানের বাবা।

শিক্ষা জীবনঃ মোঃ সাহাবুদ্দিন ১৯৬৬ সালে পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদার একাডেমী থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি ও বিএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করেন। ১৯৭৫ সালে পাবনার শহীদ আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

রাজনৈতিক জীবনঃ মোঃ সাহাবুদ্দিন রাজনৈতিক জীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠিত হলে তিনি পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন। ওই বছর ১৫ আগস্টের পর সামরিক আইনে তিনি গ্রেফতার হন।
কর্মজীবনঃ পরবর্তীকালে কয়েক বছর দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন । মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস পরীক্ষার পরপরই সহকারি জজ হিসেবে সরতারী চাকরি জীবন শুরু করেন। জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ২০০৬ সালে অবসর নেন তিনি।

এরপর মোঃ সাহাবুদ্দিন ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন


মন্তব্য