দুমকিতে প্রতিবন্ধী স্কুলে নেই টিউবওয়েল, ভোগান্তিতে ৩৪০ শিক্ষার্থী
- মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৩, ০১:৩২ PM , আপডেট: ১৭ মে ২০২৩, ০১:৩২ PM

প্রচণ্ড রোদে ক্লান্ত হয়েও পানির অভাবে শত তৃষ্ণার মাঝেও শ্রেণিকক্ষে বসে থাকতে হয় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৩৪০জন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে টিউবয়েল না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের অন্যের বাড়ির টিউবওয়েলের পানির ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। এছাড়াও শৌচাগারে থাকে না পানি। ফলে তারা চরম ভোগান্তি, স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
শিক্ষার্থী মরিয়ম বিবি, তারেক শরীফ, পূর্ণিমা রানী, আব্দুল্লাহ, সুমাইয়া, মাসুদ রানা, নাফিদা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের স্কুলের কল নেই, ঠিকমত পানি খাইতে পারিনা। স্কুলের ম্যাডামেরা অনেক দূর থেকে পানি এনে মোগো খাওয়ায়, টয়লেটে যেতেও অসুবিধা হয়।
প্রায় সময়েই বাচ্চারা(শিক্ষার্থীরা) পানির জন্য আমাদের কাছে আসে উল্লেখ করে সহকারী শিক্ষক সৈয়দ আতিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা পানির কষ্টের আছি। এছাড়াও অনেক বাচ্চা হুইল চেয়ারে আসে অথবা তাদের পা বাঁকা। কিন্তু স্কুলের রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় তাদের ভীষণ অসুবিধা হয়।
খুব দুঃখ প্রকাশ করে স্কুলটির প্রতিষ্ঠা পরিচালক এম এ হাকিম খান বলেন, বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তবে এখন এমপি মহোদয়ের কাছে আবেদন করে দেখি কি হয়।
পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট শাজাহান মিয়া বলেন , আমি দুমকিতে অনেক টিউবওয়েল দিয়েছি। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা ঠিকমত পানি পান করতে পারে না বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী নিপা বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করুক। আমরা বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবো।
বাচ্চারা পানি খায় কীভাবে জানতে চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, আমি আসলাম এতদিন তারা(স্কুল কর্তৃপক্ষ) আমাকে জানাবে না?
এখন আমি দেখি চেষ্টা করে একটি টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে উপজেলা হেডকোয়ার্টার থেকে অদূরে প্রতিবন্ধীদের জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার এম এ হাকিম খানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।