ফেনীতে পুলিশের অভিযানে ১০৮টি কাছিম উদ্ধারের পর অবমুক্ত 

ফেনী
কাছিম উদ্ধার করেছে পুলিশ  © সংগৃৃহীত

ফেনীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় থেকে ১০৮টি সুন্দি কাছিম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় কনক চন্দ্র দাস (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটক কনক চন্দ্র দাস লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

শনিবার (২০ মে) দুপুরে উদ্ধারকৃত কাছিমগুলো কাজিরবাগ ইকোপার্ক ও কালিদাস পাখালিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। 

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন শনিবার দুপুরে কাজিরবাগ ইকোপার্কে কাছিমগুলো অবমুক্ত করা উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ফেনী মডেল থানার বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এক ব্যক্তি তিনটি ক্যারেটে নিয়ে ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলো। এসময় ক্যারেট তল্লাশি করে ১০৮টি (৮০ কেজি) সুন্দি কাছিম উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি জানায়, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চর এলাকার লোকজনদের নিকট হতে কাছিমগুলো সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে নিজ হেফাজতে রেখে ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদারীপুর, সাতক্ষীরা ও খুলনায় দীর্ঘদিন যাবৎ কাছিম পাচার করে আসছে। 

বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, সুন্দি কাছিম স্থানীয়ভাবে 'চিতি কাছিম' নামেও পরিচিত। দুই থেকে তিন দশক আগেও দেশের নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদি জলাশয়ে প্রচুর সুন্দি কাছিম দেখা যেত, তবে বাসস্থান ধ্বংস ও ক্রমাগত শিকারের কারণে এই জলজ প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে। 

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, প্রাণীটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী সংরক্ষিত। তাই সুন্দি কাছিম হত্যা বা এর ক্ষতিসাধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটক পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


মন্তব্য