দুমকিতে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় দেখতে উৎসুক জনতার ঢল 

দুমকি
  © টিবিএম ফটো

পটুয়াখালীর দুমকিতে স্থানীয় যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরম আর প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা কয়েক হাজার নানা বয়সের উৎসুক জনতার ঢল নামে। 

উপস্থিত আনন্দিত দর্শকদের দাবি, আধুনিকতার ছোঁয়ায় এমন ঐতিহ্যবাহী বিনোদনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিবছর যেন এমন আয়োজন হয়। 

আর আয়োজকরা বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেছেন, যুবসমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে, নব প্রজন্মের কাছে ঘোড় দৌড়ের পরিচিতি করিয়ে দিতে ও গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতেই এমন আয়োজন। 

মঙ্গলবার(৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ রাজাখালীর দেওয়ানবাড়ী কোলা নামক এলাকায় আমন ধানের ফাঁকা জমিতে উৎসবমুখর পরিবেশে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  এ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র ওই মাঠে বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ খেলনা সামগ্রীর পাশাপাশি বাহারি খাবারের পসরা বসেছিল। 

খেলায় অংশ নেয়া বরগুনা বেতাগীর সুমন, সালাম ও  বরিশালের বাকেরগঞ্জের রাব্বি জানান, বরিশালের বাকেরগঞ্জের সওয়ারী শাওনের 'রাজা' নামক ঘোড়াটি তিন রাউন্ডের প্রতিবারই ফার্স্ট হয়। 

কেবল বইয়ের ছবিতে ও টেলিভিশনে ঘৌড় দৌড় দেখলেও এবার বাস্তবে দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি বললেন- শিশু-কিশোররা। 

এ দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে আসা অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বলেন, এর আগে কখনো বাস্তবে ঘোড়ার দৌড় দেখিনি। চোখের পলকে ঘোড়াগুলোর ক্ষুরে ধূলা উড়িয়ে দৌড়ে আসে দেখতে অনেক ভালো লাগলো। 

ছেলে মেয়ের জন্য রঙিন বেলুন ও জিলাপি কিনে জলিশা গ্রামের রুপালি আক্তার বলেন,  এ আয়োজন যেন মহামিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। আশাকরি আয়োজক কমিটি সামনের বছর ব্যাপক প্রচার ও মাইকিং করে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন। হঠাৎ করে আয়োজন করায় অনেকেই দেখতে আসতে পারে নি। 

 উত্তর রাজাখালি গ্রামের সৈয়দ সাহাব উদ্দিন বলেন, আমার নাতি ও ছেলেকে নিয়ে এলাম। এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আশাকরি এ কমিটি সামনের বছরে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করবেন।


মন্তব্য