প্রেমের বিয়ে, বিচ্ছেদের ‘খুশি’তে দুধ দিয়ে গোসল!
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ০৫:২৩ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৩, ০৫:২৩ PM

প্রেম করেছেন দীর্ঘদিন। এরপর বিয়ে। তবে শুরুতে বিয়ে মেনে নেয়নি কনের পরিবার। দুই মাস পর মেনে নেয় তারাও। এরপর শুরু হয় সংসার। এত কিছুর পরও বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছে দম্পতি। মাত্র ৯ মাসেই শেষ ভালোবাসার সংসার। তবে স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদের পর মিজানুর মোল্লা (২৪) করেন অদ্ভুত এক কাণ্ড।
বিচ্ছেদের খুশিতে ২০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল করেন। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের ঘটনা এটি। বুধবার (২১ জুন) বিচ্ছেদের মীমাংসার খবরে বিকেলে দুধ দিয়ে গোসল করেন গ্রামের ইলিয়াস মোল্লার ছেলে মিজানুর মোল্লা।
আজ বৃহস্পতিবার আদালতে তালাকনামা জমা দিয়েছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিজানুরের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল প্রতিবেশী এক কলেজপড়ুয়া ছাত্রীর। এক পর্যায়ে তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেন। এই বিয়ে মিজানুরের পরিবার মেনে নিলেও কনের পরিবার বেঁকে বসে। দুই মাস চেষ্টার পর তারাও মিজানুরকে মেয়ে জামাই হিসেবে মেনে নেন।
দুই মাস সংসারের পর শুরু হয় পারিবারিক কলহ। এক পর্যায়ে মিজানুরের নামে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের মামলা করেন স্ত্রী।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাবর আলীর বাড়িতে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাদের তালাকের কাগজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
মিজানুর মোল্লা বলেন, প্রেম করে শিক্ষিত মেয়েকে বিয়ে করার পর থেকেই আমি ও আমার পরিবারের সবাই অনেক যন্ত্রণার শিকার হয়েছি। আমার বাবা-মা স্ত্রীর ব্যবহারে অনেক কষ্ট পেয়েছে। মীমাংসার পরে আমি ও আমার বাবা-মা মুক্তি পেয়েছি। আমার পরিবার অশান্তি ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আনন্দে ২০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল করেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবর আলী বলেন, বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষের সম্মতি ও পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের খোলা তালাক হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাদের তালাকের কাগজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
বানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ হারুন অর রশীদ বলেন, লোকমুখে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখে বিষয়টি জানতে পেরেছি।