নারায়ণগঞ্জে জলাবদ্ধতার সমাধান না হলে ময়লার পানিতে দাড়িয়ে অনশনের হুমকি শামিম ওসমানের

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার এলাকার ত্রিশ চল্লিশ লাখ লোক এখানে থাকে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ময়লাসহ এমন কোন বিষাক্ত ময়লা নেই যা এই পানিতে নেই। যদি এই জলাবদ্ধতার কোন সমাধান না হয় তাহলে যেখানে যেখানে পানি জমবে সেখানে গলা পানিতে দাঁড়িয়ে অনশন করবো।

রোববার (২ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জে ডিএনডি এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন গত ২০১৭ সালে সংসদের দাঁড়িয়ে বহু অনুনয় বিনয় করে এই প্রজেক্ট পাশ করি। তখন তার পরিমাণ ছিল ৫৮২ কোটি টাকা। সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় এটার পরিমাণ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১২৯৯ কোটি টাকা। ইটস্ নট এ্যা মেটার অফ জোকস্।

এই প্রজেক্টের কাজ ২৩ সালের জুনে হস্তান্তরের কথা ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের। কিন্তু করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে প্রজেক্ট বিলম্বিত হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের এই আলোচিত সাংসদ আরো বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, আমি তাদের বেতন ভোগী, মানুষের কল্যাণে যা করা দরকার আমি তাই করবো। তাই এই প্রজেক্টের কাজ যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করতে সেনাবাহিনী ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি। যদি কাজ না হয়, তবে যেখানে যেখানে পানি জমবে সেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে আমি জনগণকে বলবো, দেখেন আপনারা যেভাবে থাকেন আমিও সেভাবেই থাকছি। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি, অর্থমন্ত্রীর সাথে কথা বলে অর্থ পাশের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, ঈদের দিন প্রবল বর্ষণের পর আমার ছেলে অয়ন ওসমানকে পরিস্থিতি দেখার জন্য প্রেরণ করি, অয়ন ওসমানের মুখে জনগণের প্রবল ভোগান্তির কথা শুনে তিনি দুঃখে ঈদের দিন ঘর থেকে বের হননি বলে জানান।

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় সেনাবাহিনী দায়িত্বশীল নাজমুল ইসলাম, এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত ছিলেন 

উল্লেখ্য গত ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডিএনডি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে জালকুড়ি, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, স্টেডিয়াম,মিজমিজি সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনগণের ভোগান্তি পৌঁছেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ঢাকা'র প্রায় ৬০-৮০ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।