শিবচরে হবে সিডনির অপেরা হাউসের আদলে অপেরা হাউস

সিডনির অপেরা হাউজের আদলে শেখ হাসিনা অপেরা হাউজ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মানের লক্ষ্যে মাদারীপুরের শিবচরের আড়িয়াল খা নদের পাড়ে জায়গা পরিদর্শন করলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ,সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ,সচিব খলিল আহমেদসহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকালে আড়িয়াল খা নদের পাড়ের উপজেলার সন্ন্যাসীরচরে হাইওয়ে থানা সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে প্রতিমন্ত্রী এ এলাকাকে অপেরা হাউজ নির্মানের জন্য আদর্শ স্থান বলে জানান। প্রকল্পটি রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের পরিবর্তে এ এলাকায় হবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এসময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ: লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো: আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল ইসলাম , মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নাজমুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাজাহান মোল্লা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সিডনির অপেরা হাউজের আদলে শেখ হাসিনা আধুনিক অপেরা হাউজ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বাংলাদেশে করতে চাই। এই অপেরা হাউজের সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাকার হাতিরঝিলে। কিন্তু সেখানকার যে জনবসতি ও যানবাহন সেখানে এটি সামঞ্জস্য হচ্ছে না। সেই কারনেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা চীফ হুইপ মহোদয়ের সাহায্য চেয়েছি। সেই মোতাবেক আমরা আজ শিবচরের আড়িয়াল খা পাড় পরিদর্শনে এসেছি। আমাদের কাছে এ জায়গাটি অপেরা হাউজের জন্য একটি অসাধারন জায়গা মনে হয়েছে। যে বিশাল জায়গা প্রয়োজন সেটা এখানে আছে। অপেরা হাউজ দৃষ্টিনন্দন করতে জলাভূমি লাগে আড়িয়াল খা নদ এখানে আছে। এই নদীতে জোয়ার ভাটা হয়। এই জায়গাটি অপেরা হাউস নির্মানের জন্য সহায়ক হবে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবকিছু থাকবে এখানে। প্রচার, প্রসার, গবেষনা সবকিছু থাকবে এখানে। যেহেতু চীফ হুইপ মহোদয় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা অনুমোদন চাইবো। খুব দ্রুত সমীক্ষা করে এই সরকারের মেয়াদকালেই নকশার কাজ সম্পন্ন করবো।

চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, এই এলাকাটি পদ্মা সেতুর পরেই আড়িয়াল খা নদের পাড়ে সুন্দর একটি এলাকা। অনেক প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে দিয়েছেন। এই প্রকল্পটি আমরা স্পোর্টস সিটির পাশেই করার চেষ্টা করছি। বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারের কাজও এগিয়ে নিচ্ছি। মানুষ এখন সুন্দর পরিবেশ চায়। সুন্দর পরিবেশের জন্য এটিই উপযুক্ত স্থান। এখানে কিন্তু ১৯ টি জেলার একটি সংযোগ। ১৯ টি জেলার পাশাপাশি রাজধানীও বর্ধিত হয়ে পদ্মার এ পাড়ে এক সময় চলেই আসবে। এখানে রেল স্টেশনের পাশেই এটি নির্মিত হলে মানুষ অনেক সুবিধা পাবে। মন্ত্রী মহোদয় এ এলাকা পছন্দ করেছেন আমরা এ জায়গা দিতে প্রস্তুত আছি।