সোনালী আঁশে সোনালী স্বপ্ন বুনছে নীলফামারীর কৃষকেরা 

নীলফামারী
  © টিবিএম ফটো

এক সময়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সোনালী আঁশ খ্যাত পাট চাষে আবারো সোনালী স্বপ্ন দেখছেন নীলফামারীর কৃষকেরা। 

চলতি মৌসুমে  অনুকূল  আবহাওয়া,  প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত এবং  সময়মত পরিচর্যার কারনে পাট চাষ  ভালো হওয়ায় এবার লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এখানকার কৃষকরা । 

ইতিমধ্যে পাট কেটে কেটে স্তুুপ করে রাখার প্রাথমিক পর্য়ায়ের কাজ  শুরু করেছেন কৃষকেরা । সময়মত জাগ দিয়ে আঁশ ছাড়িয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারলেই লাভবান হওয়ার আশা তাদের । সে কারনেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে এ কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম  করছেন তারা।  

কথা হলে সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের কৃষক মো শফিকুল ইসলাম বলেন আমি ২৪ শতক জমিতে দেশী জাতের পাট লাগিয়েছি।  অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে পাট ভালো হয়েছে। আশা করছি  লাভবান হবো। 

পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরনীবাড়ী গ্রামের কৃষক নরেশ চন্দ্র রায় জানান পাট চাষে খরচ খুব কম। হামাক তো সরকার সার ও পাট বীজ আবাদ করির দিছে,করছ তাছাড়া চাষের জন্য এবারে আবহাওয়া ভালো।মোটা লম্বা পাট গাছ হয়েছে। আঁশ ছাড়িয়া শুকিয়া বিক্রি করিতে পারিলে হয়া গেল। আশা করছি ভালো লাভ হবে।   

ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নে কৃষক জগদীশ চন্দ্র ও প্রদীপ চন্দ্র রায় বলেন, এবারে ২ একরের বেশী পাট লাগানো হয়েছে পাটও ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে লোকজন নিয়ে পাট কেটে স্তুপ করে রাখছি। পাতা ঝরে গেলে জাগ দিয়ে আঁশ ছাড়িয়ে শুকিয়ে নিয়ে বিক্রি করতে পারব। 

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে,  এবারে জেলায় ৬্ হাজার ৬ শত ১১ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।তবে এরই মধ্যে ৪৫% পাট কৃষক কর্তন করে পানিতে জাগি ও কেউ কেউ ঘরে তুলে ফেলেছে।

নীলফামারী জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক (ডিডি) আবু বক্কর সিদ্দিক ড.এস এম সাইফুল ইসলাম আরো বলেন পাটচাষে আমরা কৃষকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবারে পাটের  লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ  ব্যক্ত করছেন।