গোবিন্দগঞ্জে নিলামের বাহিরে কাটা হচ্ছে নম্বরবিহীন গাছ
- আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ-
- প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৩, ০৩:৪৯ PM , আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩, ০৪:০৪ PM

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের সরকারি রাস্তার মূল্যবান গাছ স্বল্পমূল্য দেখিয়ে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এজন্য আশানুরূপ রাজস্ব পাচ্ছেন না সরকার। উক্ত রাস্তার গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণে বন বিভাগসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা ম্যানেজ হয়ে নাম মাত্র মূল্য নির্ধারণ করেন। পরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও স্থানীয়দের অজান্তে গোপন নিলামে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া নিলামে ক্রয়কৃত গাছের বাহিরে রাস্তায় থাকা নম্বরবিহীন গাছগুলো কেটে রাস্তাটিতে প্রায় গাছ শূন্য করা হয়েছে। কাটা হচ্ছে ছোট বড় সব ধরনের গাছ।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা ১২টার সময় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের পোড়াদহ ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তায় হোসেনপুর সমবায় সমিতি কর্তৃক আনুমানিক ২০ বছর পূর্বে রাস্তার দু’ধারে ইউক্লিপটাস গাছের চারা রোপন করা হয়। গাছগুলো বর্তমানে অনেক বড় এবং মূল্যবান হয়েছে। অত্র সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, ইউপি চেয়ারম্যান ও বন বিভাগের কর্মকর্তার সাথে যোগসাজসে মূল্যবান গাছগুলো স্বল্পমূল্য দেখিয়ে মূল্য নির্ধারণ ও গোপনে কাগজপত্র ঠিক করে সমিতির সদস্যের নামেই নিলাম দেখানো হয়। তাতে সরকার আশানুরূপ রাজস্ব পাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, এলাকায় মাইকিং না করে গোপনে সমিতির সদস্যরাই গাছগুলো স্বল্পমূল্য দেখাইয়া নিলামে ডেকে নেন। পরবর্তীতে অধিক মূল্যে গাছগুলো বিক্রয় করা হচ্ছে। ওই রাস্তায় মোট কতটি গাছ এবং কত টাকা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব আশরাফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন তথ্য দিতে পারেন নি। তিনি বলেন, সব কাগজপত্র চেয়ারম্যানের কাছে রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আ.র.ম শরিফুল ইসলাম জর্জ-এর সাথে মোবাইল ফোনে গাছ কর্তন সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গাছ নিলাম করা হয়েছে। নিলামের বাহিরে নম্বরবিহীন গাছ কর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গাছ কর্তনকারীদের ধরার জন্য বলেন।
গাছ কর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, উক্ত রাস্তার গাছ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছে, তার সাথে কথা বলেন।
এলাকার সচেতন মহল জানান, সরেজমিনে সঠিক তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে। তাই তারা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।