শ্রীমঙ্গলের চা বাগান গুলোতে মেতে উঠেছে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব 

শ্রীমঙ্গল
শ্রীমঙ্গলের চা বাগান গুলোতে মেতে উঠেছে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব   © সংগৃৃহীত

জন্মাষ্টমী কৃষ্ণের জন্মোৎসব ভাদ্রমাসের কৃষ্ণের অষ্টমীতে মথুরার কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ৷ সেই পূণ্য তিথির স্মরণে দেশজুড়ে পালিত হয় জন্মাষ্টমী৷ শুধু মথুরা নয়, শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বৃন্দাবন এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার, রাজঘাট চা বাগান, খেজুরি ছড়া চা বাগান, ফুলছড়ি চা বাগান, আমরেল চা বাগান, কমলগঞ্জ উপজেলাতে, পাত্ররখোলা চা বাগান, আরো ও কয়েকটি বাগানে  দ্বারকাতেও জন্মাষ্টমী পালিত হয় ধুমধাম করে৷ 

সেই সঙ্গে মৌলভীবাজার জেলার  চা বাগান গুলোতে ও পালিত হচ্ছে শ্রী কৃষ্ণের  চলে বালগোপালের পুজো। এবছর জন্মাষ্টমী তিথির বিস্তার ২ দিন ধরে। তাই ভক্তদের মনে সংশয়  রাখছেন জন্মাষ্টমীর উপোস। পঞ্জিকা অনুসারে ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর পড়েছে জন্মাষ্টমী তিথি।

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তিথি শুরু হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর  বিকাল ৩টে ৩৭ মিনিটে। অষ্টমী তিথি শেষ হবে ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪.১৪ মি। 

পুরাণ অনুসারে, রাত্রি বারোটায় রোহিণী নক্ষত্রে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এই বিশ্বাস অনুসারে, ৬ সেপ্টেম্বর গৃহস্থরা জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করছেন চা শ্রমিকরাও। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুসারে তাঁরা শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালন করছে  ৭ সেপ্টেম্বর ।  

যেহেতু জন্মাষ্টমীর পুজো রাতে হয়, তাই ৬ সেপ্টেম্বর তারিখটিই অনেকে বেছে নিচ্ছেন কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালনের জন্য। জন্মাষ্টমী পুজোর শুভ ক্ষণের কথা যদি বলেন, তবে তা মাঝরাত ১২টা ২ মিনিটে শুরু হবে। চলবে ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত।

পুরোহিত ধনেশ কুর্মী দৈনিক আলোর নিশান  কে জানিয়েছেন, পৃথিবীতে কংসের ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের অবসান এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এইদিনটিই জন্মাষ্টমী হিসেবে পালিত। কৃষ্ণকে শ্রী হরি বিষ্ণুর সবচেয়ে অপরূপ অবতার বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের পুজো করলে অকাল মৃত্যুর ভয় থাকে না এবং পরকালে স্বর্গে স্থান হয়।

শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় জগতের সকল সুখ লাভ হয়। সন্তানের মঙ্গলের জন্য এই দিনে কৃষ্ণ পুজো করেন অনেকে। বিশ্বাস করা হয়, যাঁরা জন্মাষ্টমীতে বালগোপালকে মাখন, মিছরি, নিবেদন করতে পারেন।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ