পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়; ঠাঁই নেই হোটেল-রিসোর্টে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৫ PM , আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৪ PM

পাহাড়, অরণ্য, ঝিরি-ঝর্ণার জেলা খাগড়াছড়ি। এজন্য সারা বছরই পর্যটক সমাগম থাকে এখানে। তবে একুশে ফেব্রুয়ারি ও সাপ্তাহিক ছুটিকে ঘিরে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে বেড়েছে পর্যটক সমাগম।
একুশে ফেব্রুয়ারি ও সাপ্তাহিক ছুটির মাঝে এক দিন ছুটি নিলেই টানা ৪ দিনের ছুটি। এ অবস্থায় খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সাজেকে বেড়েছে পর্যটক সমাগম। এরই মধ্যে বুকিং হয়ে গেছে অধিকাংশ হোটেল-রিসোর্ট। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক দল।
রহস্যময় আলুটিলা সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত ব্রিজ, রিসাং ঝর্ণাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখতে পর্যটকে মুখর খাগড়াছড়ি। যাতায়াত সুবিধার কারণে খাগড়াছড়ি হয়ে রাঙামাটির সাজেক ভ্রমণে যাচ্ছেন অনেকে। পাহাড়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ তারা।
পাহাড়ে ঘুড়তে আসা এক পর্যটক বলেন, ‘এখানে ঘুরে খুবই ভালো লাগছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরেছি। এতো সুন্দর । ক্যামেরায় সব সৌন্দর্য বুঝা যায় না। প্রচুর পর্যটক।’
অতিথি বাড়ায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও। বুকিং হয়ে গেছে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ হোটেল-রিসোর্ট।
খাগড়াছড়ির এক হোটেলের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘টানা তিনদিন ছুটি থাকায় পর্যটকরা প্রচুর পরিমাণে খাগড়াছড়িতে আসছেন। আমাদের হোটেলে ফুল বুকিং হয়ে গেছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম।
খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিদিন আমাদের মোবাইল টিম ও সিভিল টিম বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটে সক্রিয় আছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। প্রতিদিনই খাগড়াছড়ি এবং সাজেকে প্রচুর পর্যটক আসছে। তাদের নিরাপত্তায় আলুটিলা, রিসাং ঝরনাসহ বিভিন্ন কেন্দ্রগুলোতে মোবাইল ডিউটি এবং সিভিল টিম কাজ করছে।’
একুশে ফেব্রুয়ারি ও সাপ্তাহিক ছুটিকে ঘিরে ৩০ হাজার পর্যটক সমাগম হবে, আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের।