মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী সিরাজগঞ্জের রশিদ মন্ডল

সারাদেশ
  © সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মোঃ আঃ রশিদ মন্ডল মুরগির খামার করে আজ স্বাবলম্বী। আয় করেন প্রায় কোটি টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনাব আঃ রশিদ মন্ডল প্রথমে ছোট্ট একটা ঘরে শ’খানেক বয়লার মুরগির তোলেন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে  হয়নি। একটা থেকে দুইটা এরকম করে করে এখন আটটা ঘরে মুরগী উঠিয়ে নিয়মিত লালন-পালন করছেন। এখন তার ঘরে প্রায় হাজার বারোশো মুরগী। এরমধ্যে আবার লেয়ার মুরগির জন্য আলাদা ঘর করেছেন। সেখানেও কয়েক শত মুরগী রয়েছে। এই মুরগী এখন ডিম পাড়া শুরু করেছে। নিয়মিত ডিমগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করছেন তিনি। আশেপাশের লোকজন ফার্ম থেকে ডিম কিনছেন। হাতের নাগালে ডিম পেয়ে এলাকার মানুষ অনেক আনন্দিত। আঃ রশিদ মন্ডল মুরগি এবং ডিম বিক্রি করে এখন কোটিপতি।

ফলে তার পরিবার এখন অনেক সুখী জীবন যাপন করছে। তার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং মা রয়েছে। আঃ  রশিদ মন্ডল এর মুরগির খামার দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন। অনেক যুবক আজ অনুপ্রানিত হচ্ছেন মন্ডলের মুরগির খামার দেখে এবং অনেকেই আজ এরকম খামার তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। আর এভাবেই খামার তৈরির মাধ্যমে আমাদের মাংস ও ডিমের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করছেন তিনি।

এছাড়া তিনি মুরগির বিষ্টা দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করছেন। এই গ্যাস দিয়ে নিজের জ্বালানি চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের অনেক বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করে জ্বালানি চাহিদা মেটাচ্ছেন।

এতে সবাই উপকৃত হচ্ছেন। একদিকে তিনি যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন অপরদিকে পাশের লোকজন অল্প দামে সহজলভ্য গ্যাস সরবরাহ পেয়ে অনেক উপকৃত হচ্ছেন।

এলাকার বিজ্ঞ লোকজন জানালেন, এভাবে পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষ যদি তাদের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে কাজ করত তাহলে আমাদের দেশ অনেকাংশে উন্নতির দিকে এগিয়ে যেত। তাই আমাদের আঃ রশিদ মন্ডলের মডেল অনুসরণ করে দেশ ও দশের সেবায় আত্মনিয়োগ করা উচিত।

 


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ