বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি:

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন পাশের দেশ থেকে অস্ত্র আসছে; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন বিদেশি কোনো মদদ নেই

কুকি-চিন
  © ফাইল ছবি

পাশের একটি দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের দেওয়ানজি পুকুরপারের বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাশের একটি দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। সেই অস্ত্র দিয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা পরিচালিত হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এরইমধ্যে যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। পার্বত্য এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত সাঁরাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বান্দরবানের ঘটনায় বিদেশি কোনো মদদ নেই। বিদেশি যাদের কথা বলা হচ্ছে, তারা নিজেদের সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত। এই অপরাধে জড়িত কেউ দেশের বাইরে গেলে সেখান থেকে তাকে এনে বিচার করা হবে।’

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবান সার্কিট হাউজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা জনগণের সরকার। জনগণ যদি মনে করে পার্বত্য শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার। তাহলে তাই হবে। জনগণের কথামতো আলোচনা হতে পারে।

শান্তি প্রক্রিয়ার আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছিল উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু তারা আলোচনা চায় না। তাই সেটা ঢাকতে এই হামলা চালিয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেএনএফ যে হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন শক্তিশালী অভিযান চালানোর। সমন্বিত অভিযানের বিষয়ে সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বাহিনী তাদের মতো অভিযান চালাবে।’

এর আগে শনিবার বান্দরবানের রুমায় পৌঁছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাহাড় শান্তিপ্রিয় এলাকা। এখানে শান্তির সুবাতাস বইত। এখানে কোনো অশান্তি হোক তা চাই না। যে ঘটনাই ঘটুক, তদন্ত করে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্যাঞ্চলকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। হামলার ঘটনায় কারো গাফিলতি আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সম্প্রতি ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, থানায় আক্রমণের ঘটনায় উত্তপ্ত বান্দরবান।