মাহফিল কমিটি নিয়ে দুমকীতে সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃ'ত্যু-১!

পটুয়াখালী
  © সংগৃহীত

ওয়াজ মাহফিলের কমিটি নিয়ে পটুয়াখালীর দুমকীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহতের ঘটনায় মোশারেফ মুন্সি(৫০) নামে একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। গতকাল(৬ মে) রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। 

নিহত মোশারেফ মুন্সি উপজেলার পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের মৃত. আ: আজিজ মুন্সি ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

নিহতের আপন চাচাতো ভাই সুলতান মুন্সি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার নেপথ্যে সালাউদ্দিন বাপ্পি'র বাবা মহুরী আ: ছত্তার। সে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এঘটনায় নিহতের আপন ভাই অহিদুর রহমান শহিদ মুন্সি পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজে এবং সোবাহান মুন্সি ঢাকা মেডিকেল কলেজে মুমূর্ষু অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে এ্যাড. সালাউদ্দিন বাপ্পি বলেন, যে যে কথাই বলুক পুরো বিষয়টিতে আমার বাবা (মহুরী আ: সত্তার) দু'পক্ষকেই থামানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন, আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে, অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করা হবে।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের ন্যায় উপজেলার পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের মৃত. আব্দুল গনি মাওলানার ছেলে মাওলানা মো: নেছার উদ্দিন নোমান প্রতিষ্ঠিত পূর্ব কার্তিকপাশা কারিমিয়া মাদ্রাসা মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই মাহফিলের কমিটিতে মুন্সি বাড়ির লোকজনের নাম না রাখায় নেছার মাওলানা গং ও সোবাহান মুন্সি গংয়ের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুন্সির বাজারে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত এবং দুমকী থানায় উভয় পক্ষ মামলা করেন।


মন্তব্য