রাতের আঁধারে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ

ফরিদপুর
  © সংগৃহীত

ফরিদপুরে স্টপেজের (যাত্রাবিরতি) আশ্বাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রীর মোঃ জিল্লুল হাকিম। কিন্তু মন্ত্রীর আশ্বাসের এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফরিদপুরে স্টপেজ না দেওয়ায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ীগামী চন্দনা কমিউটার ট্রেন রাতের আঁধারে আটকে দিয়েছেন ফরিদপুরের বাসিন্দারা।  

গতকাল বুধবার (০৫ জুন) রাত পৌনে ৯টা থেকে প্রায় ৪০ মিনিট ফরিদপুর রেলস্টেশনে চন্দনা কমিউটার ট্রেনটি থামিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

 এসময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা এর আগে ফরিদপুরে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলন করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী জুন মাসের শুরুতে চন্দনা কমিউটার ট্রেন ফরিদপুরে স্টপেজ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য ট্রেন আটকে দেওয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনটি ছেড়ে দেন।  

এর আগে একই দাবিতে গত ৫ মে ট্রেন চালুর দিন মানববন্ধন ও ১১ মে স্টপেজের দাবিতে কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনে শুয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ফরিদপুরবাসী। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ফরিদপুরের ভাঙ্গার একটি অনুষ্ঠানে জুন মাসের শুরুতে ফরিদপুরে স্টপেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এ সময় এক বিক্ষোভকারী বলেন, রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকাগামী নতুন দুটি কমিউটার ট্রেন চালু করা হয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। তবে ফরিদপুরের ওপর দিয়ে গেলেও ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো স্টপেজ রাখা হয়নি। রেলমন্ত্রী ফরিদপুরে স্টপেজ করার আশ্বাস দিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য স্টপেজের দাবিতে আমরা রাস্তায় নেমেছি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের আরেকটি নতুন অধ্যায় রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সাথে নতুন দুটি কমিউটার ট্রেন চালু। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, ফরিদপুরের উপর দিয়ে গেলেও ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো স্টপেজ রাখা হয়নি। এতে ফরিদপুরের যাত্রীরা সুলভে ঢাকার সাথে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা কয়েক দফা আন্দোলনের পর রেলমন্ত্রী জুন মাসের শুরুতে ফরিদপুর স্টোপেজ দেওয়ার প্রতিশ্রিতি দিলেও কথা রাখেনি। আমরা রেলমন্ত্রীর কাছে অনতিবিলম্বে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এই চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের দাবি জানাই। অতি শিগগিরই স্টপেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে ফের লাগাতার কর্মসূচি শুরু করা হবে।

রেলওয়ে সূত্র জানা গেছে, এ রেলপথ দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস, সুন্দরবন, রাজশাহী ও নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস চলাচল করে। চারটি ট্রেনেরই ফরিদপুরে যাত্রাবিরতি রয়েছে। কিন্তু চন্দনা কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি ফরিদপুর রেলস্টেশনে না থাকায় এ বিক্ষোভ করা হচ্ছে।