গনআন্দোলনের পর স্বাভাবিক হতে চলছে সিরাজগঞ্জ শহরের অবস্থা

দীর্ঘ গণআন্দোলনে দেশের অবস্থা যখন স্থবির হয়ে পরেছিল। সিরাজগঞ্জ জেলা ও এ ক্ষেত্রে বাদ যায়নি। আন্দোলনে সিরাজগঞ্জ শহরে ৩ জন, এনায়েপুর থানায় ১৩ জন পুলিশ, রায়গন্জ থানায় ২ জন মানুষ মারা গেলে সারা জেলায় তখন একটা যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল। বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা মিলল এ আন্দোলনের চিহ্ন। 

সিরাজগঞ্জ শহরের চৌরাস্তায় মাস্টার জুয়েলার্সের দোকান লুট, স্থানীয় এমপির বাসায় আগুন, সদর উপজেলা ভূমি অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, জেলা নির্বাচন অফিসে আগুন দিয়েছে, জেলা জজ আদালতের কাচ ভাংচুর করে। এছাড়াও সারা জেলায় এরকম ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। 

এতে করে জান- মালের ক্ষতির পাশাপাশি রাষ্ট্রিয় সম্পদের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এখনো জনমনে কিছুটা আতংক বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের চাওয়া অতি দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় দেশ ফিরে আসুক। 

গতকাল সিরাজগঞ্জ শহরে ঘুরে দেখা গেল শহরের কোথাও কোন পুলিশ নেই। সেনাবাহিনী শহরে টহল দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেমন কোর্ট, ডিসি অফিস, সিভিল সার্জন অফিস, জেলা কারাগারে সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে সেনা সদস্য ও আনসার বাহিনী মোতায়েন আসছে।

শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছাত্ররা টাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশের অনুপস্থিতিতে ছাত্রদের এই কাজ জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। 

জনমনে স্বস্তি ফিরি আসতে শুরু হয়েছে। দোকান পাট খুলছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ জজ আদালতে বিচার কাজ পুরোপুরি এখনি শুরু হয় নি। সিমিত আকারে শুধু রাজনৈতিক মামলা গুলো শুনানি করে জামিন দিচ্ছে অন্য মামলা গুলো আপাতত ধরছে না। এজন্য কোর্ট এলাকায় লোক সমাগম অনেক কম।

সাধারণ মানুষের আশা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হবে। চারপাশে আবার সেই আগের প্রাণ চান্চলতা ফিরে আসবে।