সিরাজগঞ্জের একডালা নদীতে ব্রিজ না থাকায় ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ

সিরাজগঞ্জ
একডালা গ্রামের ইছামতী নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর স্থিরচিত্র  © বাংলাদেশ মোমেন্টস

সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের সবচেয়ে জনবহুল গ্রামের নাম একডালা। এ গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইছামতী নদী। সম্প্রতি এই নদী খনন করা হয়েছে। এতে নদীতে পানি প্রবাহ বেড়েছে। 

গ্রামের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হওয়ায় প্রতিনিয়ত গ্রামের মানুষজনকে নদীর একপার থেকে আরেক পারে যেতে হয়। একডালা গ্রামে প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষের বসবাস। এছাড়াও আশেপাশের  প্রায় কয়েক ইউনিয়নের কয়েকশ গ্রামের মানুষকে একডালা ইছামতী নদী পারাপার হতে হয়। নদী পার হতে হয় স্থানীয় উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিজের অভাবে এলাকাবাসী যাতায়াতের জন্য দীর্ঘদিন যাবত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

একডালা গ্রামের স্থানীয় মুরব্বি মোঃ জহুরুল ইসলাম মনি, কামরুল ইসলাম দুলাল, ডাঃ আঃ মজিদ সরকার মফিজ, গাজী মোঃ আমজাদ হোসেন, জনাব এফ.  এম. নজরুল ইসলাম বাহাদুর, এস. এম. ছালেম তালুকদার, জনাব আক্তারুজ্জামান মন্টুসহ অনেকেই বলেন, আমাদের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ইছামতী নদীর চরে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তাদের নিয়মিত নদী পার হতে হয়। 

তাছাড়া এটি একটি জনবহুল রাস্তা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। তাদের যাতায়াত সহজ করতে একটি ব্রিজ অতীব প্রয়োজন।

এছাড়া নদীর প্রশ্চিম পাশের ডিগ্রিরচর, গজিয়াবাড়ি, গোপালনগর,বিষারদিয়ার,আমদানিপুর,মথুরাপুরসহ প্রায় ৩০/৪০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সিরাজগঞ্জ সদরের মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়েই তাদেরকে যাতায়াত করতে হয়।

এই এলাকার সমস্ত লোকজনকে হাট-বাজার  সহ দৈনন্দিন কাজে এই সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হয়। এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়েই সিএনজি, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি সহ হালকা যানবাহন পারাপার হচ্ছে। 

স্থানীয় লোকজন জানান, এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। নদীর পশ্চিম পাশে বিশাল জনপদ গড়ে ওঠায় সেখানে হাট-বাজার,  মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল গড়ে উঠেছে। এতে কোমলমতি শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে বিপদজনকভাবে চলাচল করছে। 

তাই এলাকাবাসী ইছামতী নদীর উপর একটি সেতু নির্মানের জন্য দাবি জানিয়েছেন। যাতে এলাকাবাসীর কষ্ট যেমন ভাবে দূর হবে তেমনি সর্বসাধারনের যাতায়াত সহজ হবে।

এ বিষয়ে রতনকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ব্রিজটির অভাবে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। রতনকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত শহিদুল ইসলাম তালুকদারের প্রাণের দাবী ছিল এলডালা নদীর উপর একটি সেতু নির্মানের। 

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার  সাথে বগুড়া জেলার ধুনুট উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য একডালা  নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ অতীব জরুরি হওয়ায়, এলাকাবাসী একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য সরকারের কাছে জরুরি পদক্ষেপ কামনা করছে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ