সিরাজগঞ্জে ছাত্র জনতার গনসমাবেশ

সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় ছাত্র জনতার এক বিশাল গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হরিণা পিপুল বাড়িয়া বাজারে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্বাধীনতা মুক্ত মন্সে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির বর্ষিয়ান জননেতা জনাব মোঃ রেজাউর রহমান খান দুদু, বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ইসলামি ছাত্র শিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার বিপ্লবী সভাপতি জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম তারেক, ইসলামি ছাত্র শিবির সিরাজগঞ্জ জেলা সভাপতি ছাত্র নেতা মোঃ আলহাজ্ব উদ্দিন, বিএনপি নেতা জনাব আঃ ছালাম, জামাত নেতা মাওলানা মোঃ ছানোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা জনাব আঃ হাই, আলামিন চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

সমাবেশে ইসলামি ছাত্র শিবির সিরাজগঞ্জ শহর সভাপতি জনাব তরিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ জংগী দল,আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল অতএব তাদেরকে অতিদ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। এক মূহুর্তের জন্য তাদেরকে বাংলার জমিনে রাজনীতি করতে দেয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন বিগত দিনে শহিদ আবু সাইদ, আলী রায়হান, মুগ্ধ, মাহিম সহ, ছাত্র, রিকসাওয়াল , ময়লা পরিষ্কারকারী, শিশু, মহিলা সহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাকারী খুনি হাসিনার বিচার করে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। ছাত্র নেতা তরিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যা লঘু বলতে কোন শব্দ নেই, কারণ সবাই মানুষ, আর ধর্ম যার যার অধিকার সবার। 

উক্ত সমাবেশে ইসলামি ছাত্র শিবির সিরাজগঞ্জ জেলা সভাপতি মোঃ আলহাজ্ব উদ্দিন বলেন,  সংখ্যা লঘুদের উপর নির্যাতন ছাত্র জনতা বরদাশত করবে না। হিন্দু কার্ড খেলে আওয়ামী লীগ এইবার আর পার পাবে না। হাজার হাজার ছাত্র জনতার হত্যাকারী এই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের রাজপথ ছাত্র জনতার রক্তে রঞ্জিত, এই রাজপথের উপর দিয়ে আওয়ামী লীগকে আর মার্চ করতে দেয়া হবেনা। 

বিএনপি নেতা জনাব আঃ ছালাম বলেন, আমরা ১৬ বছর বাজারে বসে একসাথে বসে চা খেতে পারি নাই। মন খুলে কথা বলতে পারতাম না। মামলা হামলা চালিয়ে আমাদেরকে নিষ্পেসিত করা হয়েছে। আমাদের সামান্য তম মানবাধিকার ছিলনা। আজকে ছাত্র জনতা আামাদের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞ। 

তিনি আরও বলেন এ বিজয় হাত ছাড়া হতে দেয়া যাবে না। যে কোন মূল্যে এ বিজয় ধরে রাখতে হবে। তিনি ছাত্রদের প্রতি আরও একটি অনুরোধ করেন তোমরা যেভাবে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ফিরে নিয়ে এসেছো, একইভাবে তোমাদের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে, কারণ মাদক নির্মুল করতে  না পারলে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাই তোমাদের মাদকের বিরুদ্ধে  আরেকটি যুদ্ধে নামতে হবে। আমরা তোমাদের সহযোগিতা করব।

জামাত নেতা মাওলানা মোঃ ছানোয়ার হোসেন বলেন, তারা মুখের ফুতকারে আল্লাহর দ্বীনকে নিভিয়ে দিতে চেয়েছিল। অথচ আজ তারাই বাংলাদেশের যমিন থেকে চিরতরে নিভে গেছে। তাই এই পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগ আর কোনো ভাবেই যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে নারে, এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। 

স্বভাপতির বক্তব্যে বর্ষিয়ান জননেতা জনাব মোঃ রেজাউর রহমান খান দুদু বলেন, খুনি হাসিনা বাংলাদেশে গনহত্যা চালিয়ে ভারতে তার স্বামীর কাছে চলে গেছে। এই খুনির বিচার বাংলার মাটিতে আমরা করব। আমাদেরকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে এই খুনির পেতাত্বারা যেন আর জাগতে না পারে।