বাজার কমিটির অফিস দখলের চেষ্টা 

বিএনপি নেতার শরীর ঝলসে দিলেন আরেক নেতা

গুলশান
  © সংগৃহীত

জোরজবরদস্তি করে গুলশান ২নং কাঁচাবাজার মার্কেট অফিস দখল করতে গিয়ে স্থানীয় বিএনপির এক নেতার শরীরে গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাটারা থানা আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি গুলশান ২নং কাঁচাবাজার মার্কেটের বিএনপি অফিস দখল করতে যান ভাটারা থানা আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী। এসময় দীর্ঘদিন ওই বাজারটিতে আওয়ামীগোষ্ঠী দ্বারা নির্যাতিত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলে পড়েন মোহাম্মদ আলী এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজন। এতে করে ওই মার্কেটের বিএনপিপন্থী বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী আহত হন। তাদের ছোড়া গরম পানিতে গুলশান ২নং ইউনিট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল গণির (শাহীন) শরীরের ২৭ শতাংশ ঝলসে যায়। বর্তমানে তিনি শেখ হাসিনা প্লাস্টিক সার্জারি এন্ড বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গুলশান ২নং কাঁচাবাজার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই বাজারে পা রাখেননি মোহাম্মদ আলী। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিভিন্ন সময়ে এই মার্কেটের যেসব ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময় নিযাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের ওপর হামলা, মারপিট করে মার্কেটের কমিটি ও বিএনপির অফিস দখলের পাঁয়তারা করছেন মোহাম্মদ আলী।

গুলশান থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘২০০৯ সালের পর থেকে এই মার্কেটের বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের ওপর কত বিপদ গেছে। কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। যাদের ১৫ বছরে এই মার্কেটে পা পড়েনি শেখ হাসিনা স্বৈরাচার সরকার পতনের পর হঠাৎ তারা কিশোর গ্যাং এবং আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে জোর জবরদস্তি করে মার্কেটের কমিটি এবং মার্কেটের অফিস দখল করতে চাচ্ছে। আমাদের ওপর অত্যাচার ও মারধর করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বাজারে শান্তি ফিরে আসুক। বাজারের সবই শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করুক।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গুলশান ২নং ইউনিট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল গণি শাহীন বলেন, ‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানা আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে ও তার সাথে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগ থেকে আসা নব্য বিএনপি সন্ত্রাসীরা আমাদের গুলশান ২নং কাঁচাবাজার মার্কেট অফিস দখল করে। এসময় আমরা দ্বীন ইসলাম ভাইয়ের নেতৃত্বে তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে যাই আপনারা ভাটারার লোক কেন গুলশান অফিস দখল করলেন? এসময় তারা আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং হামলা করে। এতে আমার ওপর চায়ের গরম পানি, লিকার, গরম কেরোসিন তেল, এমন কি পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আমি এতে গুরুতর আহত হই।’

এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলীকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।