সিলেট-সুনামগঞ্জ

অর্ধকোটি মানুষ পানিবন্দি : সিলেট বিভাগীয় কমিশনার

বন্যা
অর্ধকোটি মানুষ পানিবন্দি  © সংগৃৃহীত

ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় সিলেট-সুনামগঞ্জে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। দুর্গতদের দ্রুত উদ্ধার করা বা জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য করা হচ্ছে।

শনিবার(১৮জুন) দুপুরে বন্যার ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে সমন্বয় সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এই তথ্য জানান। 

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন,পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় সিলেট ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় ৫০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।  দুর্গতদের দ্রুত উদ্ধার করা যায় বা জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো যায় সেজন্য প্রশাসনের তরফ থেকে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য করা হচ্ছে। 

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি শনিবার থেকে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও কোস্টগার্ড যুক্ত হয়েছে। 

নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ইতোপূর্বে প্লাবিত এলাকায়ও বন্যার পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। সুরমা নদীর পর কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে একঘন্টার টানা বৃষ্টিতে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতাল এলাকায় পানি ঢুকে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে নিচতলার ওয়ার্ডগুলোয় পানি ঢুকতে শুরু করে। ফলে হাসপাতালের জেনারেটরে পানি ঢোকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় হাসপাতালের অস্ত্রোপচার বিভাগ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসাব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে।

আরও পড়ুনঃ বন্ধ হলো সিলেট রেলওয়ে স্টেশন

শনিবার(১৮জুন) দুপুর ১২ টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের নিচতলার ওয়ার্ডগুলোতে পানি ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া 

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া সিলেট সিটি করপোরেশনের বিশেষ জেনারেটরটি হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এতে অন্তত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ও অস্ত্রোপচার বিভাগটি সচল রাখা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, আজ সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১ হাজার ৭৬০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এখন সেটি আরও বাড়তে পারে। তবে হাসপাতালে পানি ঢোকায় কয়েকজন রোগী চলে গেছেন।