কুষ্টিয়ায় পেট্রোল পাম্পে আগুন মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪

সারাদেশ
কুষ্টিয়ায় পেট্রোল পাম্পে আগুন মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪  © সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দফাদার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। পরবর্তীতে শনিবার রাতে ও বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় আরও দুজনের। গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মো. বিদ্যুৎ হোসেন (২৫) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিদ্যুৎ হোসেনের শরীরের ১৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রিমন (১৪) নামে আরও একজন মারা গেছে। এ নিয়ে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চারজনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ভোরে রিমন রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় সেখানে ভর্তি করা হয় তাকে। এর আগে শনিবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. রাজিব উদ্দিন (২৫) নামে একজন একই হাসপাতালে মারা যান। 

নিহত রিমন দৌলতপুর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে। রিমনের শরীরের ৭৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দফাদার পেট্রোল পাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও একজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চারজনে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার মহিষাডোরা এলাকায় দফাদার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত রাজিব উদ্দিন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লাহরদর্গা এলাকার রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ভেড়ামারার মহিষাডোরা এলাকার দফাদার ফিলিং স্টেশনের কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। তার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

ঘটনাস্থলে নিহত দুজন হলেন- উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের শাহাজুদ্দীনের ছেলে শাহাজুল (৩৫) ও একই এলাকায় তৌহিদুল ইসলামের ছেলে বিজয় (১৬)।