চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিধবা নারীর ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণ
ভুক্তভোগী নারী  © সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির প্রতিবাদে এবং বিয়ের দাবিতে করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস.এম হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বিধবা নারী। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় নিজ বাড়িতে ওই নারী এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ছয় মাস পূর্বে হাবিবুর রহমানের আমার বাড়িতে এসে বলেন- ‘কৈশোর কাল থেকে আমি তোমাকে ভালবাসি, এখনও তোমাকে ভালবাসি। আর যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোমাকে ভালবেসে যাবো।’ এরপর গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান আমার কাছে আসেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচনের খরচ বাবদ আমার কাছ থেকে তিনি দশ লাখ টাকাও নেন।

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গত ৩১ মে মঙ্গলবার রাতে তার সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর থেকে তাকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। চেয়ারম্যান আমার মান-সম্মান নষ্ট করেছেন। এলাকায় মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে। তাই আমি বিয়ে করার দাবি করছি। তা না হলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় থাকবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী আরও বলেন, ‘গত ১৪ আগষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১)ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগটি আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস.এম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাকে হেয় করতে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। যাতে চেয়ারম্যানি করতে না পারি। সেজন্য এই মিথ্যা ও বায়োয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে। ওই নারীর সঙ্গে আমার কোনোদিনই আর্থিক ও শারীরিক এবং প্রেমের সম্পর্ক ছিলো না। তবে গত নির্বাচনে ওই নারী আমার দল করেছেন। আমার জন্য ভোট চেয়েছেন। আমার পক্ষে সর্বাত্মক কাজ করেছেন।’