প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে সিত্রাং জয়

সারাদেশ
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে সিত্রাং জয়  © ফাইল

সিডর, আম্ফানের মতো ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় জেলাগুলোর মানুষজন থাকতো সবসময় আতঙ্কে। দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি না থাকায় তা মোকাবিলায় ঘরবাড়ি রেখে তাদের ছুটতে হতো আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে এবার সিত্রাং মোকাবিলায় সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাওয়া উপকূলীয় ১৯ জেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে ‘আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি’।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে ১৯ উপকূলীয় জেলায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৯০ জন মানুষ এবং ৪৫ হাজার ৪৪২টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়। মোট ৭ হাজার ৪৯০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪২ লাখ ৭৪ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছরে উপকূলীয় ১৯ জেলায় ৬১ হাজার ৩৭৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় এসব ঘর পাওয়া প্রায় ৪ লাখ মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি।

আশ্রয়ণের ঘরগুলো দুর্যোগ সহনীয় হওয়ায় কোনও ঘরের তেমন ক্ষতির সংবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাওয়ায় তাদের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। দুর্যোগের সময় মানুষ, গবাদি পশু ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।

আশ্রয়ণের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো অনেক বেশি টেকসই। তৃতীয় ধাপে একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। এ ধাপে আরসিসি পিলার, গ্রেড বিমসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়।

উপকূলীয় ১৯ জেলায় মোট ৬১ হাজার ৩৭৮টি ঘরের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৮০৫, শরীয়তপুরে ২ হাজার ৬৬২, কক্সবাজারে ৩ হাজার ৬৪০, চট্টগ্রাম জেলায় ৫ হাজার ০৪৩, চাঁদপুরে ৪০৮, লক্ষ্মীপুরে ৩ হাজার ২২৮, নোয়াখালীতে ৩ হাজার ৬২৮, ফেনীতে ১ হাজার ৬৫৯, সাতক্ষীরায় ২ হাজার ৯০৬, যশোরে ২ হাজার ১৫৩, খুলনায় ৩ হাজার ৯৫০, নড়াইলে ৮২৯, বাগেরহাটে ২ হাজার ৭৯৪, ভোলায় ৩ হাজার ৫২৯, পিরোজপুরে ৪ হাজার ৮৬৭, ঝালকাঠিতে ১ হাজার ৮৪২, পটুয়াখালীতে ৬ হাজার ৯৪১, বরগুনায় ২ হাজার ৬০০ এবং বরিশাল জেলায় ৪ হাজার ৮৩৪ পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়।