রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৪ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৪ PM

বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য শস্য ও পণ্য সরবরাহ থাকায় রমজানে দাম বৃদ্ধির কারণ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি বলেছেন, ‘রোজায় আমাদের প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। যেটি আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয়।’
আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রমজান মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে এবং ঈদুল ফিতরের যাত্রা যানজটমুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে পর্যালোচনা মূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছরে সবচেয়ে বেশি খাদ্য মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি। রোজায় নিত্য পণ্য মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছানোর সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। রোজায় ওএমএস চালু রাখার পাশাপাশি দুই ধাপে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি। প্রতিবারই এক কোটি মানুষের কাছে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এতে পাঁচ কোটি লোক উপকৃত হবে বলে মনে করেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
চিনির দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান মুখ্য সচিব। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে চিনির ডিউটি কমানো হয়েছে। ট্যারিফ ভ্যালুও তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে চিনির আমদানি বাড়বে। এতে চিনির দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এই বছর রোজার প্রস্তুতি যথাযথভাবে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্য সচিব। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত খাদ্য শস্য ও নিত্যপণ্য বাজারে আছে। সবাইকে বলব আতঙ্ক সৃষ্টি যেন কেউ না করে।
এক সঙ্গে অনেক জিনিস যেন কেউ না কেনে। যখন যা প্রয়োজন তা নিলে কারও কোনো সমস্যা হবে না। আমরা খুব ভালোভাবে রোজা ও ঈদ উদ্যাপন করতে পারব।
এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য সচিব বলেন, ‘এবার পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। কারণ আমাদের যথেষ্ট মজুত রয়েছে।’ পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি না হতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। কেউ যাতে মজুতদারি করতে না পারে সেটার জন্য কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে কেউ সমস্যা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। তিনি বলেন, যারা রোজার সময় মজুত করার চেষ্টা করবেন। মানুষকে দুর্ভোগে ফেলার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, এখন যে স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে। ঠিক তেমনি রমজানেও স্বাভাবিক অবস্থা থাকবে। ওই সময়ে কৃষি ক্ষেত্রে সেচের জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার আছে। সেহেরি এবং ইফতারের সময় বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি না হয় তাই রাত ১১টার পর থেকে সেচের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতেও সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্য সচিব। রেলওয়ের টিকিটের বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, তাদের ব্যবস্থাপনাকে আরও অনেক বেশি উন্নত করতে হবে। তাদের অনলাইনে টিকিট বিক্রি সঠিকভাবে করতে হবে। অনলাইনের বাইরে যে টিকিট বিক্রি হয় সেটার জন্য অনেক বেশি কাউন্টার, সারা ঢাকা শহর ব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে এ টিকিট ব্যবস্থাপনা যাতে করেন সেই বিষয়ে তাদের বলে দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।