গুদামে নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ, ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি

হিলি
  © ফাইল ফটো

দিনাজপুরে হিলি বন্দরে অতিরিক্ত গরমে আমদানি করা বস্তাবন্দি পেঁয়াজ গুদামে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতাসংকটে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই একরকম বাধ্য হয়ে সেগুলো ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তারা।

সরেজমিনে হিলি সিনেমা হল রোডে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা বস্তা থেকে পেঁয়াজ মেঝেতে ঢালছেন। এরপর ওই পেঁয়াজগুলো আবারও পরিষ্কার করা হচ্ছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য।

আমদানিকারক প্রতিনিধিরা জানান, আইপি জটিলতার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ট্রাকে বস্তাভর্তি থাকায় অতিরিক্ত গরমে অধিকাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ৫-৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লোকসান হবে অনেকটা।  তবে ভালো মানের পেঁয়াজ ৩২-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে হিলিতে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ৫ জুন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।  অনুমতি পাওয়ার পরদিন থেকে হিলি দিয়ে শুরু হয় ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি। বন্দরে ভালো মানের পেঁয়াজ ৩২-৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে তা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।

বগুড়া থেকে হিলিতে পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, গুদামে ভালো পেঁয়াজের পাশাপাশি রাখা আছে নষ্ট পেঁয়াজ। ভালো পেঁয়াজগুলো দ্রুত বিক্রি হচ্ছে। তবে নষ্টগুলো প্রতিদিন আরও বেশি নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয় একাব্বর আলী বলেন, বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ দেখি রাস্তার পাশে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। লোকজনও ভিড় জমিয়ে আছে। পরে গিয়ে দেখি ৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ। আমি ১০ কেজি কিনলাম বাড়ির জন্য।

পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, গত ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত এক হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতিদিন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। পেঁয়াজ কাঁচামাল হওয়ায় দ্রুত খালাসের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।