ভারত থেকে আমদানির পরেও কমছে না কাঁচা মরিচের দাম

কাঁচা মরিচ
  © সংগৃৃহীত

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক সফিকুর রহমান বলেছেন, মনিটরিং বাস্তবায়নের অভাব আর সঠিক পরিকল্পনার ঘাটতিতে বাজার অব্যবস্থাপনা চলছে; এজন্য রাহুমুক্তি হচ্ছে না ভোক্তাদের।

ভারত থেকে আমদানীর পরেও কমেনি কাঁচামরিচের দাম। ঈদ পরবর্তী বাজারে কাঁচা মরিচ আর পিয়াজে অতিরিক্ত দামে দুর্ভোগে ক্রেতারা। ভারত থেকে পর্যাপ্ত মরিচ আমদানি করা হলেও কোন সুফল পাচ্ছেনা তারা। আদার দাম কিছুটা কমলেও আবারও বেড়েছে রসুনের দাম। আর সবজির দাম আবারো চড়া।  

রাজধানীর বেশ কিছু বাজারের মধ্যে তুলনামূলক চিত্রে দেখা যাচ্ছে দামের ব্যবধান আকাশ-পাতাল। পাইকারী বাজারের কাঁচামরিচ কারওয়ান বাজারের খুচরা ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। আবার কয়েক কিলোমিটার দূরের হাতিরপুল বাজারে কেজিতে বেড়েছে আরো বেশ কতক। আর বুয়েট ক্যাম্পাসের কাছে পলাশী মোড়ের বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৫ শ’ টাকা দরে। 

সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ।   অন্যদিকে, সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বাড়তি সব ধরনের সবজির দাম। 

এমন অবস্থায় ক্রেতা ভোক্তারা ক্ষুদ্ধ বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে। উর্ধ্বমুখী বাজার দরে চরম অস্থিরতায় নিম্ন আর মধ্যবিত্ত মানুষ। সংসারের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না তারা। তাই দ্রুত বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দাবি সাধারণ মানুষের। 

অবশ্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আর মাঠ পর্যায়ে তদারকির অভাবে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ, কনজুমার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এড. মো. হুমায়ুন কবির ভূঁইয়ার। 

ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ মরিচ আমদানি করা হলেও, কোন সুফলই পাচ্ছেন না ভোক্তারা। আর ভোক্তা অধিদপ্তরের নজরদারির তোয়াক্কা করছে না ব্যবসায়ীরা।  এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক সফিকুর রহমান বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে, ব্যবসায়িদের অসাধু চিন্তাকে নয়। এ ব্যাপারে সতর্ক সিদ্ধান্ত জরুরী বলেই মনে করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালকের।