বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম, দিশেহারা ক্রেতারা

নিত্যপণ্য
  © টিবিএম ফটো

নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে দাম। চলতি সপ্তাহে সবজির বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মুরগির দাম। চাল, ডাল, সবজি, মাছ, গরুর মাংস ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজারে এসে তাই দিশেহারা হয়ে পড়ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ছোট বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুনের কেজি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ৪০০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে।

সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৭০ টাকা দরে। সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং দেশি মুরগির কেজি ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা দাম বেড়েছে। 

এক ক্রেতা বলেন, কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। খুচরা বাজারে নিয়ন্ত্রণে না থাকায় এমনটি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা দরে মুরগি কিনেছিলাম। আজ ১৮০ টাকায় কিনলাম। বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন। খুচরা বাজারে সরকারের মনিটরিং জরুরি।

কারওয়ান বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। দাম কমে গেলে আমরাও দাম কমিয়ে দেব। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, যেটি গত সপ্তাহে ছিল ৫০০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ১০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা।

এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।