হঠাৎ সবজি বাজারে আগুন, দাম দ্বিগুণ!

অর্থনীতি
সবজি বাজারে আগুন  © সংগৃৃহীত

হঠাৎ সবজি বাজারে দামের তাপে পুড়ছেন ক্রেতা। কয়েকটি সবজির দাম হয়ে গেছে দ্বিগুণ। অনেক কাঁচা তরকারির কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। এর মধ্যে বড় গোল বেগুন কেনাবেচা হচ্ছে অস্বাভাবিক দামে; এক কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। সবজির পাশাপাশি আবারও চড়েছে ডিমের বাজার। দুই দিনের ব্যবধানে ডজন উঠেছে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায়। 

বিক্রেতারা বলছেন, সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষক সবজি তুলতে পারেননি। ফলে ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক সবজি। এ কারণে মাঠ পর্যায় থেকে শহরে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। তাতে চাহিদার চেয়ে সবজির জোগানে দেখা দিয়েছে ঘাটতি। এ

ক্রেতারা বলছেন, একেকবার একেক ছুতায় জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই বলে ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে দাম নিচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তারা। 

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে শুধু পেঁপে আর আলু ছাড়া ৭০ টাকার কমে কোনো সবজি পাওয়া যায়নি। তিন-চার দিন আগে রাজধানীতে ঢ্যাঁড়সের কেজি ৪০ ও গোল বেগুনের কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দ্বিগুণ দাম বেড়ে বাজারে এখন সবজি দুটি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭০ থেকে ৮০ ও ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। এ ছাড়া লম্বা বেগুনের দামও দ্বিগুণ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

গত শুক্রবার বরবটির কেজি ছিল ৭০ টাকা। কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। একইভাবে পটোল ও চিচিঙ্গা কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। তিন দিন আগে করলা, ধুন্দুল ও ঝিঙ্গের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কেনা গেছে। এখন গুনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। নতুন সবজি হিসেবে শিমের দাম এমনিতেই বেশি; কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। ছোট একটা ফুলকপি কিনতে গেলেও ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বাজারে মুলার চাহিদা কম থাকে, সেটির কেজিও এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কম দামের সবজি বলতে এখন শুধু পেঁপে মিলছে কেজি ৪০ টাকায়।

সাম্প্রতিক সময়ে আলুর দর নিয়ে হয়েছে বেশ হইচই। দামও বেঁধে দেয় সরকার। তাতেও সুফল মেলেনি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দর ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।

এদিকে প্রতি ডজন ফার্মের ডিমের দাম সরকার ১৪৪ টাকা বেঁধে দিলেও দু’দফা বেড়ে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আমিষজাতীয় খাদ্যপণ্যটি। কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।