চট্টগ্রামে চিনির গুদামে আগুনের প্রভাব এবার ঢাকায়; কেজিপ্রতি বাড়লো ২ টাকা

আগুন
  © সংগৃৃহীত

গত সোমবার চট্টগ্রামে এস আলমের চিনির গুদামে লাগা আগুনের প্রভাব বাজারে পড়বে না বলে আশ্বস্ত করা হলেও এর প্রভাব পড়া শুরু করেছে। আগুন লাগার একদিন পরেই চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বাজারে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চিনির দাম ৭০ টাকা বেড়ে যায়। এবার রাজধানীর খুচরা বাজারে অনেকটাই নিরবে কেজিপ্রতি ২ টাকা দাম বেড়েছে চিনির। বেড়েছে খোলা চিনির দামও। 

এ পরিস্থিতির জন্য বরাবরের মতোই বিক্রেতারা দুষছেন মিলারদের। অবশ্য বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলছেন, গুদামে আগুনের কারণে চিনির দামে প্রভাব পড়বে না। তবে এখনই ব্যবস্থা না নিলে দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ভোক্তারা।

গত সোমবার বিকাল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম সুগার মিলের গুদামে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত। একদিন স্থায়ী আগুনে পুড়ে গেছে মজুত থাকা চিনি। যদিও এর পরিমান নিয়ে সুষ্পষ্ট তথ্য মিলছে না। মঙ্গলবার বাণিজ্যমন্ত্রী ৩০ হাজার টনের তথ্য দিলেও মিল কর্তৃপক্ষের দাবি–চিনি ছিল ১ লাখ টনের বেশি।

এ ঘটনার পর এস আলম কর্তৃপক্ষ ভোক্তাদের আশ্বস্ত করে বলে, আগুনের কারণে দেশের চিনির বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না। বাণিজ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেন।  

এমনিতেই রমজান মাসে বরাবরই চিনির চাহিদার সঙ্গে দাম বেড়ে যায়। এবার চট্টগ্রামে চিনির গুদামে আগুনের উত্তাপ ছড়িয়েছে বাজারে। হঠাৎই প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৪৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৬ টাকা। আর খোলা চিনির বস্তায় বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। 

এ বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, ‘খোলাটা (চিনি) এখন আমরা কিনতে পারি ৬ হাজার ৭০০ টাকায়। আমরা প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি করছি ১৪০ টাকায়। আমাদের কেনা পড়েছে ১৩৮। এখন আবার দুই টাকা করে বাড়িয়েছে। ১৪০ টাকা কেনা, ১৪২ টাকা বিক্রি। এমআরপি হলো ১৪৬ টাকা। কোম্পানিগুলো তো আবার আমাদের কাছে জবাবদিহি করেনা, যে কী কারণে দাম বাড়ল। এখনই যদি সরকার উদ্যোগ না নেয় তাহলে এটা ৫–৬ টাকাও বাড়তে পারে।’ 

দেশে বছরে ২০ থেকে ২২ লাখ টন চিনি আমদানি হয়। বাজারে এসব চিনি বাজারজাত করে হাতে গোনা ৫ থেকে ৬টি প্রতিষ্ঠান। আমদানি শুল্ক কমানোর পরও চিনির দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা করলে রুখে দেয়ার হুঁশিয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের। 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনির সরবরাহ আছে। যদি কোনো মিল তার মিলগেটের দাম এক টাকাও বাড়িয়ে থাকে আমি সেই মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন।’ 

এদিকে দাম সমন্বয়ের এক সপ্তাহ পরও বাজারে মিলছে না সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা লিটারে সয়াবিন তেল। বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই।