সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না গরু ও মুরগির মাংস

দাম
  © ফাইল ছবি

গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। তবে এর আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের দাম। রোজার মধ্যে আরও বেড়েছে। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার (১৫ মার্চ) ডাল, ডিম, মাংস, পেঁয়াজসহ ২৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই তা মানছেন না।

আজ শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ২৯টি পণ্যের মধ্যে মাত্র ৩টি পণ্য নির্ধারিত দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। এ তিনটি পণ্য হলো কাঁচামরিচ, শিম ও পাঙ্গাস মাছ। 

আজও বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। অথচ গতকাল শুক্রবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দাম নির্ধারণ করে দেয় ৬৬৫ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬৫ টাকা বেঁধে দেওয়া হলেও বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়। 

ব্যবসায়ীদের দাবি, নতুন দর সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এছাড়া পাইকারি বাজার থেকে বাড়তি দরে পণ্য কেনায় নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকরে বাজার তদারকি বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন ক্রেতারা। 

দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও প্রায় একই চিত্র। কাঁচামরিচের কেজি ৬০ টাকা বেঁধে দেওয়া হলেও রাজশাহীতে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আদার কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রির কথা বলা হলেও ২০০ টাকার কমে ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। রসুনের দাম ১২০ টাকার জায়গায় নেওয়া হচ্ছে ১৪০ টাকা। ৯৮ টাকা নয়, ছোলার কেজি কিনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, তারা যে দামে কিনেছেন, সেই দাম নির্ধারিত করে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি। তাই তারা কমাতে পারছেন না।

এদিকে, খুলনায় গরুর মাংসের কেজিতে নেওয়া হচ্ছে ৭৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। চট্টগ্রামেও মুরগি, গরুর মাংসসহ সব ধরনের ডাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ব্যবসায়ীদের দাবি, পণ্যের দাম নির্ধারণ নিয়ে কিছুই জানেন না তারা। 

ব্রয়লার মুরগির কেজি ২১০ টাকা এবং গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বরিশালের বাজারে। একই অবস্থা সিলেট-বগুড়াতেও। সেখানকার ক্রেতারাও বলছেন, তদারকি না থাকলে শুধু দাম নির্ধারণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।


মন্তব্য