বাজার থেকে উধাও চাঁদাবাজি করা পরিচিত মুখ; তবে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে নতুন মুখ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩৪ PM , আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩৪ PM
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। এই সরকারের পতনের পর বাজার থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলা পরিচিত মুখগুলো উধাও। তবে এরই মধ্যে উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে নতুন মুখ। তাদের দৌরাত্ম্য বন্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ চান ব্যবসায়ীরা। শুধু বাজারকেন্দ্রিক নয়, বন্দরেও চাঁদাবাজি নির্মূলের দাবি তাদের।
দিনে প্রায় শখানেক সবজির ট্রাক ঢোকে কারওয়ান বাজারে। প্রত্যেককেই চাঁদা দিতে হতো। এই বাজারে আড়তদার ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীকে দৈনিক চাঁদা দিতে হয়। ফুটপাতে ৮ ঘণ্টার জন্য চাঁদা দিতে হতো ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর পালিয়ে গিয়েছে এসব চাঁদাবাজ।
বর্তমানে চাঁদাবাজের উৎপাত কিছুটা কমলেও পুরোপুরি স্বস্তি মিলছে না। বাজারে নতুন করে চাঁদা আদায়ের পাঁয়তারা করছে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগ সন্ধানীরা। দোকানিদের অভিযোগ, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে কিছু নতুন মুখ।
এক বিক্রেতা বলেন, ‘তারা মাঝে মাঝে আসে আবার চলে যায়। এসে বলে টাকা দিতে। কিন্তু কিসের টাকা দিব? এরপরে চলে গেছে।’ অপর আরেক বিক্রতা বলেন, ‘নতুন দলের লোকজন এসে বলছে আগে যে টাকা দিতা এখন থেকে আমাদের দিবা।’
তাই আবারও আগের অবস্থা ফিরে আসার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের। পণ্যের দাম কমাতে চাঁদাবাজের উৎপাত বন্ধে কঠোর হওয়ার দাবি তাদের।
দোকান মালিক সমিতির সহ সভাপতি হাজী গোলাম মাওলা বলেন, ‘পুলিশ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের টাকা দিতে হতো। এখন আর অর্থ দিতে হয় না, যার ফলে স্থানীয় সবজিগুলো কিছুটা স্বল্প মূল্যে আছে। এ ধারাবাহিকতাটা বজায়ে রাখতে হবে। চাঁদাবাজি উৎপাটন করে দিতে হবে।’
বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পণ্যে সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান ব্যবসায়ীদের।