‘টাইমস হাইয়ার এডুকেশন’ এর র‌্যাঙ্কিং

এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি

ঢাবি
  © লোগো

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা ‘ টাইমস হাইয়ার এডুকেশন’-এর প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্য্যাকিংয়ে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বাংলাদেশের মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুন) টাইমস হায়ার এডুকেশন ১১তম র‍্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করে। এশিয়ার ৩১টি দেশের মোট ৬৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র‍্যাঙ্কিং করে টাইমস হায়ার এডুকেশন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাদান, গবেষণা, জ্ঞান স্থানান্তর এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিমাপ করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৮৬তম। এরপর ১৯২তম স্থান অর্জন করে র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। গতবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্য্যাকিংয়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার এর মধ্যে স্থান পায় এবার অবস্থানের উন্নতি হয়ে তা ৬০০ থেকে ৮০০ এর মধ্যে স্থান পেয়েছে। এদিকে দেশের প্রথম বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবারই প্রথম বারের মতো এ র‍্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করে প্রথমবারই বাজিমাত করে। 

এ বছর ১৩টি পারফরম্যান্স সূচক বিবেচনায় নিয়ে  এশিয়ার ইউনিভার্সিটিগুলোর র‍্যাঙ্কিং করে টাইমস হাইয়ার এডুকেশন। তবে গত বছরের (২০২২) র‍্যাঙ্কিংয়ের সঙ্গে তুলনায়, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। সেইসঙ্গে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক র‍্যাঙ্কিংও। ২৫১-৩০০ গ্রুপে থেকে গতবারও দেশসেরা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।  গতবার এশিয়ার সেরা ২৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের নামই ছিলো না।

তবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অবস্থান আগের থেকে অবনমন ঘটেছে। গতবছর বুয়েট পুরো ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্য্যাকিংয়ে ছিল ১২০১ এর মধ্যে যা এবার ১২০১ থেকে ১৫০০ এর মধ্যে স্থান পেয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, এটা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য খুশির খবর। তবে এটাকে ধরে রাখাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমাদের অনেক কিছু ঘাটতি আছে। আমাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অর্থায়ন করতে না পারলে এটা ধরে রাখা কঠিন হবে। 

উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনমান একটা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে যদি কিছু উদ্যোগ নিতে না পারি তাহলে এটা হুমকির মুখে পড়বে। এ ছাড়া, গবেষণার যে গতি সেটা ধরে রাখার জন্য অর্থায়ন করা আর একটি হলো আমাদের অবকাঠামোগত কিছু অভাব রয়েছে সেগুলো এখন টেকসই করতে না পারলে এটা ধরে রাখা কঠিন হবে।