সিনেমার খবর নেই, তবুও আলোচনায় জায়েদ-নিপুন

বিনোদন
জায়েদ খান ও পুর্ণিমা  © ফাইল ফটো

পরাণ, দিন দ্যা ডে এবং হাওয়া এই তিন সিনেমায় ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিচ্ছে বাংলা সিনেমা। এতদিন সারাবছর বিদেশি সিনেমা চালিয়ে সিনেপ্লেক্স তাদের ব্য্যভার চালালেও এখন কিনা বিদেশি সিনেমার বরাদ্দ স্ক্রিন দখল করে নিয়েছে দেশি সিনেমা। বাংলা সিনেমার এই জমজমাট সময়েও ছবি মুক্তির খবর নেই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে লড়তে থাকা জায়েদ-নিপুনের। এর মাঝেই আবারও আলোচনায় উঠ এলেন তারা। আলোচনার টপিক আবারও সেই 'সাধারণ সম্পাদক পদ'। 

সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মাসিক সাধারণ সভায় শিল্পীদের পরিচয়পত্র হস্তান্তর করা হয়। চলচ্চিত্র সমিতির অফিস থেকে পরিচয়পত্রগুলো সংগ্রহ করেন শিল্পীরা। বিতরণ করা এসব পরিচয়পত্রে সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চনের নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে। তার পাশেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণ আক্তারের নাম ও স্বাক্ষর থাকায় প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, সাধারণ সম্পাদক পদটি এখনো কোর্টের রায়ে স্থিতিশীল রয়েছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এক নেতা বলেন, ‘আইনগতভাবে নিপুণের সেখানে থাকার কথা নয়। থাকলেও কার্ড বিতরণ করতে পারেন না। বর্তমানে তিনি যে মিটিং করেছেন, সেখানেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই থেকেছেন। তাঁর বক্তব্যও ছিল তেমন। অথচ আদালতের সর্বশেষ রায়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করার কথা এজিএসের।’ 

এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘অবৈধভাবে নিপুণ আবার কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের মামলার এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। যা ইচ্ছা তা–ই করতে পারেন না নিপুণ। আইন মানা একজন শিল্পীর নৈতিক দায়িত্ব।'

গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলাফলে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ। এর পর কয়েক দফা আদালত, রিট, শুনানি চলতে থাকে। একবার জায়েদ, একবার নিপুণ দখল করে বসেন। এই থেকে সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। এই মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।