‘করুণা ও ভীতির গল্প’ মঞ্চস্থ হবে নাটমণ্ডলে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের নতুন প্রযোজনা ‘করুণা ও ভীতির গল্প’ । আগামী ২৬ আগস্ট হতে ০২ সেপ্টেম্বর প্রতিসন্ধ্যা ৭টায় নাটমণ্ডল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি।
হত্যা-ষড়যন্ত্র আর সন্দেহের আখ্যানে মোড়া গল্প নিয়ে মঞ্চে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন নাটক ‘করুণা ও ভীতির গল্প’, যে নাটকের পরতে পরতে মূর্ত হয়ে উঠেছে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের রাজনৈতিক হত্যা ও শিশু হত্যা। নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়রের জগদ্বিখ্যাত তিনটি নাটক হ্যামলেট, ম্যাকবেথ ও ওথেলো অবলম্বনে গবেষণাধর্মী বিনির্মিত নাট্যভাষ্য এই উৎসবে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে।
নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আছেন বিভাগীয় সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির। নাটকটিতে অভিনয় করবেন বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
শেক্সপিয়ারকে বেছে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে নির্দেশক বলেন, 'নাট্যকার হিসেবে শেক্সপিয়র অবশ্যই আমাদের সমকালীন। শেক্সপিয়রের নাটকের প্রতি আমাদের আকর্ষণ কখনো ম্লান হয় না। তার চরিত্রগুলো সীমান্ত অতিক্রম করে, সময়কে জয় করে সর্বদা আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়। এই আধুনিক মানব-বিশ্বের বহুমাত্রিক বাস্তবতার বিস্ময়কর রূপায়ণ ঘটেছে শেক্সপিয়রের নাটকগুলোতে।'
বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান লিয়ন বলেন, 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের উত্থান-পতন, সামরিকায়ন, রক্তপাত ও হত্যালীলার ঘটনাপ্রবাহ শেক্সপিয়রের ট্র্যাজেডিগুলোকেই যেন প্রতিবিম্বিত করে। সে কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ বারবার শেক্সপিয়রকে মঞ্চায়নের মাধ্যমে আমাদের দেশ ও বিশ্বকে নাট্যশিল্পের ভাষায় অধ্যয়ন করতে আগ্রহী হয়েছে।'
শুক্রবার উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি থাকবেন সংসদ সদস্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির থাকবেন বিশেষ অতিথি হয়ে। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক ওয়াহিদা মল্লিক।
এ নাটকে নির্দেশনা সহযোগী হিসাবে আছেন ধীমান চন্দ্র বর্মণ, মঞ্চ, আলোক ও দ্রব্য পরিকল্পনা করেছেন আহমেদুল কবির। সংগীত পরিকল্পনায় মনোহর চন্দ্র দাস, রূপসজ্জা ও পোশাক পরিকল্পনায় উম্মে সুমাইয়া।
২৬ আগস্ট শুক্রবার থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা আট দিন সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে নাটকটির প্রদর্শনী হবে বলে জানান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির।