বলিউডে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঐশ্বরিয়ার

ঐশ্বরিয়া
বলিউডে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঐশ্বরিয়ার  © সংগৃৃহীত

রূপে, গুণে তিনি অনন্যা। সিনেমাপ্রেমিদের স্বপ্নের নায়িকা। বলিউডে নিজের জাত চিনিয়েছেন আগেই। শুরুর সিনেমা থেকেই দর্শক হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন। তার অভিনয় নৈপূণ্যে বুঁদ হয়ে থাকতেন ভক্তরা। দীর্ঘ চার বছরের বিরতির পর আবারও পরিচালক মণিরত্নমের ‘পুণ্যিয়ানি সেলভান’ সিনেমার মধ্য দিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হয়েছে সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রায়ের। 

এ সিনেমায় নন্দিনী এবং তার মা মন্দাকিনী দেবী, দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া। এতে বিক্রম-ঐশ্বরিয়া ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জায়াম রবি, কার্তি, তৃষা কৃষ্ণান, শোভিতা ধূলিপালার মতো একঝাঁক তারকা।

আরও পড়ুনঃ  পুষ্পা পাল্টে দিয়েছে রাশ্মিকার দৃষ্টিভঙ্গি

গেল ৩০ সেপ্টেম্বর ৫০০ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমাটি হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পর আলোচনায় চলে এসেছে সিনেমাটি। প্রথম দিনেই বিশ্বব্যাপী ৮৩ কোটি রুপি আয় করে এটি। মাত্র দুদিনে এ সিনেমার আয় দাঁড়িয়েছে ১৫৩.৪ কোটি রুপি। এর মধ্যে শুধু ভারতের বক্স অফিস আয় ৮৩.৪ কোটি রুপি। পাশাপাশি, বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে আরও ৭০ কোটি রুপি আয় করেছে ‘পুণ্যিয়ানি সেলভান’। খবর ই টাইমসের।

কাল্কি কৃষ্ণমূর্তির লেখা ‘পুণ্যিয়ানি সেলভান’ উপন্যাস থেকে সিনেমা নির্মাণের চেষ্টা তামিল ইন্ডাস্ট্রি চালিয়ে যাচ্ছিল সেই পঞ্চাশের দশক থেকে। কিন্তু সম্ভব হয়নি। 'পুণ্যিয়ানি সেলভান' উপন্যাসে মূলত প্রাচীনকালের চোলা সম্প্রদায়, রাজমহলের ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত এসব ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনা উঠে এসেছে।

আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেলেন পূজা চেরি
 
পরিচালক নব্বই দশকে সিনেমাটি বানানোর উদ্যোগ নেন। তবে এ সিনেমার জন্য প্রয়োজন বিশাল বাজেট। কিন্তু এত বড় বাজেটের জন্য প্রযোজক পাননি তিনি। ২০১০ সালে আবারও উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে আবারও উদ্যোগ নেন সিনেমা বানানোর। সেবারও বাধাগ্রস্ত হন। এরপর ২০১৯ সালে আসে 'পুণ্যিয়ানি সেলভান' সিনেমার অফিশিয়াল ঘোষণা। দুই খণ্ডে নির্মিত এ সিনেমার প্রথম খণ্ড মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। দ্বিতীয় খণ্ড মুক্তি পাবে ২০২৩ সালে। অনেকেই বলছেন, ভারতের বক্স অফিসের সব রেকর্ড ভাঙতে পারে এ সিনেমা।


মন্তব্য