নারী ডাক্তারদের চিকিৎসায় রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি: গবেষণা

চিকিৎসক
  © ফাইল ছবি

নারী ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করলে রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। একইসাথে নারী ডাক্তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে পুনরায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কম। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য দেখা গেছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া, ফোর্বস, এনবিসি, দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ডেইলি মেইল, এমএসএন, এনডিটিভির প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল অনুসারে, নারী ডাক্তারদের তুলনায় পুরুষ ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে রোগীদের মৃত্যুহার অনেকটা বেশি।

গবেষণায় ৪,৫৮,১০০ মহিলা রোগী এবং ৩,১৮,৮০০ জনেরও বেশি পুরুষ রোগীর তথ্য মূল্যায়ন করা হয়েছিল, যারা ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, নারী চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করলে রোগীদের মৃত্যুহার এবং পুনরায় ভর্তির হার কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মহিলা ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা শেষে মহিলা রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ৮.১৫ শতাংশ, যে হার পুরুষ ডাক্তাদের ক্ষেত্রে ৮.৩৮ শতাংশ। আবার একজন মহিলা ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা শেষে পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০.১৫ শতাংশ, যে হার পুরুষ ডাক্তাদের কাছে ১০.২৩ শতাংশ।


গবেষণা দলের সদস্য ইউসুকে সুগাওয়া বলেন, এটি প্রমাণ করে যে মহিলা চিকিৎসকরা উচ্চ মানের যত্ন দিয়ে থাকেন এবং সেজন্য আরও মহিলা চিকিৎসকের উপস্থিতি রোগীদের উপকৃত করবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মহিলা ডাক্তাররা তাদের রোগীদের সাথে কথা বলতে, তাদের রেকর্ড দেখতে বেশি সময় ব্যয় করেন। এতে ভালো মত চিকিৎসা দিতে পারেন তারা। এছাড়া একজন মহিলা চিকিৎসক পরীক্ষার সময় মহিলা রোগীদের বিব্রত ও অস্বস্তিকর পরিবেশ দূর করতে সাহায্য করে থাকেন।

গবেষণার সহ-লেখক এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক লিসা রোটেনস্টাইন বলেন, আমরা জানি যে চিকিৎসার ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসকদের যত্নের পার্থক্য রয়েছে। মহিলা চিকিৎসকরা পুরুষদের তুলনায় রোগীদের সাথে বেশি সময় ব্যয় করেন। এতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে ওঠে।

২০০২ সালের একটি পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, মহিলা ডাক্তাররা একজন রোগীর সাথে গড়ে ২৩ মিনিট সময় ব্যয় করেন যেখানে পুরুষ ডাক্তাররা সময় ব্যয় করেন ২১ মিনিট।


মন্তব্য